ডিটেকটিভ ডেস্কঃঃ
সিলেটে পুলিশের ‘নির্যাতনে’ রায়হানের মৃত্যুর সাত মাস পর হত্যা মামলার অভিযোগপত্র অবশেষে জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এতে প্রধান আসামি বরখাস্ত এসআই আকবরসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচজনই পুলিশ সদস্য।
পিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার সকালে অভিযোগপত্র জমা দেয়া হয়েছে।
এই হত্যা মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয়ার দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে বিভিন্ন সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রায়হানের পরিবার। অভিযোগপত্র প্রস্তুত হয়ে গেছে বলেও প্রায় এক মাস পার করে দিয়েছে পিবিআই।
তবে পুলিশ সুপার খালেদ-উজ জামান বলছেন, অভিযোগপত্রে যেন কোনো খুঁত না থাকে, তদন্ত নিয়ে যেন প্রশ্ন না ওঠে সে জন্য তদন্তে সবগুলো দিক খতিয়ে দেখা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আলোচিত এ মামলার আসামি পুলিশ হওয়ায় একটি নির্ভুল, ত্রুটিমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য অভিযোগপত্র তৈরি করতে কিছুটা সময় লেগেছে। এ ছাড়া করোনার বিরূপ পরিস্থিতির কারণেও দেরি হয়েছে।
নগরের আখালিয়ার নেহারীপাড়ার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে গত বছরের ১১ অক্টোবর দিবাগত রাতে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে আনা হয়। তাকে রাতভর ফাঁড়িতে আটকে রেখে অমানসিক নির্যাতন করা হয়। ভোর সাড়ে ৬টার দিকে তার নিথর দেহ ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান পুলিশ সদস্যরা। পরে সকাল ৭টা ৫০মিনিটে রায়হানকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এ ঘটনায় রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান অভিযুক্ত বন্দরবাজার ফাঁড়ির এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ঘটনার ২৮ দিন পর গত বছরের ৯ নভেম্বর কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত থেকে বরখাস্তকৃত এসআই আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ দিন সন্ধ্যায় তদন্ত সংস্থা পিবিআিইর কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। তবে, ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবকারী কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহআল নোমান এখনও পলাতক রয়েছে।
//ইয়াসিন//