সাজাপ্রাপ্ত আসামির নামের একাংশ ও স্বামীর নামের মিল থাকায় বিনা দোষে দেড় বছর ধরে চট্টগ্রাম কারাগারে সাজা খাটছেন হাসিনা বেগম নামে এক নারী। কক্সবাজারের টেকনাফ পৌর এলাকার হামিদ হোসেনের স্ত্রী হাছিনা বেগমকে ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর থানায় নিয়ে যায় টেকনাফ থানা পুলিশ।
পরদিন তাকে আদালতে চালান দেয়া হয়। এরপর থেকে সাজা খাটছেন হাছিনা বেগম। কবে,সম্প্রতি এ ঘটনাটি সামনে আসায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের রেজিস্ট্রারকে বিষয়টি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছে আদালত।
২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এলাকা থেকে ২ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান একই এলাকার হামিদ হোসেনের স্ত্রী হাসিনা আক্তার। পরে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক তিনি।
২০১৯ সালের পয়লা জুলাই হাছিনা আক্তারকে ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। তাদের স্বামীর নাম ও নিজের নামের একাংশের সাথে মিল থাকায় গ্রেপ্তার হন হাছিনা বেগম।
বর্তমানে সাজা খাটা হাসিনা বেগম ও হাসিনা আক্তার একজন নয় বলে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।
এবিষয়ে মামলা পরিচালনাকারী চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ জানান, ভুক্তভোগীর এবং তার স্বামীর নামের একাংম মিল থাকা পুলিশ তাকে আটক করে। তবে, এখন মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে জানা যাচ্ছে এই হাছিনা বেগম তার গ্রাম বা এলাকার বাইরে কখনো আসেননি। এমনকি সে কখনো টেকনাফ বা কক্সবাজার জেলাতেও যাননি।
এদিকে শুধু নাম বিভ্রাটে নিরপরাধ মানুষের কারাবরণ বিষয়টিকে পুলিশের চরম গাফিলতি হিসেবে দেখছেন বিশিষ্টজনরা।
বিষয়টি নজরে আসায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের রেজিস্ট্রারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছে আদালত। আর নামের মিল দেখে নিরাপরাধ ব্যক্তির জেল খাটাকে নিন্দনীয় বলছেন বিশিষ্টজনরা।
//ইয়াসিন//