আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্প। তাদের দুজনের করোনা পজিটিভ জানিয়ে শুক্রবার টুইট করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এর আগে তার শীর্ষ উপদেষ্টা হোপ হিকস করোনা আক্রান্ত হলে কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার কথা জানান। এরপর করোনা পরীক্ষায় জানা যায় তারা আক্রান্ত।
বিশ্বজুড়ে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটলেও শুরু থেকেই করোনাভাইরাস নিয়ে উদাসীন থাকার অভিযোগ ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে। করোনা আক্রান্ত না হয়েও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের মতো অননুমোদিত ওষুধও নিয়েছিলেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় এরই মধ্যে ২ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে এ রোগের ভয়াবহতা নিয়ে বারবারই সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচির সতর্কতা উপেক্ষা করেছেন ট্রাস্প। শুরুতে করোনাকে মামুলি ফ্লু হিসেবেও বর্ণনা করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
তবে শুক্রবার এক টুইট বার্তায় করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার সাথে ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পও আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে।
সম্প্রতি ক্লিভল্যান্ডের নির্বাচনি বিতর্কসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের সফর সঙ্গী ছিলেন শীর্ষ উপদেষ্টা হোপ হিকস। মিনেসোটায় সভা থেকে ফেরার পথে অসুস্থ বোধ করেন হিকস। বিমানেই আইসোলেশনে নেয়া হয় তাকে। ট্রাম্প, মেলানিয়া ছাড়াও হিকসের সংস্পর্শে আসা হোয়াইট হাউসের অন্য কর্মকর্তাদেরও কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জুড ডিরে ট্রাম্পের শীর্ষ উপদেষ্টা হিকসের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে কিছু জানাননি। মার্কিন গণমাধ্যমকে দেয়া এক বিবৃতিতে জুড ডিরে বলেন, ট্রাম্প স্বাস্থ্য সুরক্ষার সব ব্যবস্থা মেনে চলছেন।
ট্রাম্প এমন এক সময়ে করোনা আক্রান্ত হলেন যখন মার্কিন নির্বাচনের তোরজোর তুঙ্গে। আগামী ১৫ অক্টোবর ফ্লোরিডার মায়ামি ও ২২ অক্টোবর টেনেসির ন্যাশভিলে আবারো নির্বাচনি বিতর্কে মুখোমুখি হওয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্প ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের। এমন অবস্থায় রিপাবলিকান শিবির কিছুটা বিপাকে পড়তে যাচ্ছে বলে মত বিশ্লেষকদের।
করোনা মোকাবিলায় দুর্বল নীতির কারণে বারবারই ডেমোক্র্যাট শিবিরের তোপের মুখে পড়েছেন ট্রাম্প। ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথম নির্বাচনি বিতর্কেও এই ইস্যুতে তার ওপর চড়াও হন জো বাইডেন।