চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃঃ
চট্টগ্রাম নগরী ডাবল মুরিং থানাধীন ২৮ ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে তার নিজস্ব ভবনে অবৈধ মাদকের ব্যবসা ও অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছিলো। সম্প্রতি মক পুকুরপাড় আজু শাহ মাজার লাইন তার নিজস্ব ভবন থেকে তিনজন নারী- তিনজন পুরুষসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।
জিয়ার মাদক সাম্রাজ্যঃ ও অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে পড়তে হয় চরম বিপদে। তার এই অবৈধ অপকর্মে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসীরা মুখ খুলতে শুরু করেছে।
মাদক ব্যবসার সম্রাট জিয়া রাজনীতিকে ডাল হিসেবে ব্যবহার করে এবং বিএনপির বিভিন্ন নেতার ছত্রছায়ায় প্রতিনিয়ত চলছে তার অবৈধ মাদক ব্যবসা ও নারী ব্যবসার জলসা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওয়ার্ড বিএনপির এই নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্ম যেমন মাদক এবং রাজনৈতিক সহিংসতা ও অপকর্মের একাধিক মামলার অভিযোগ রয়েছে এবং হরতালে বিস্ফোরণের চার্জশিটভুক্ত আসামী এই বিএনপি নেতা। তার বিরুদ্ধে দন্ডবিধি ১৪৩/১৪৯/১৫৩/৪২৭ ধারায় গঠন হয়েছিল।
বিএনপি নেতা জিয়ার বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এলাকায় সে অনেকগুলো ভবনে তার এই অবৈধ কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।শীর্ষ এই ইয়াবা ব্যবসায়ী, মদ, চাঁদাবাজি, জমি দখল, চোরা কারবারি এবং ২৮ নাম্বার ওয়ার্ডে অনেকগুলো ভবনে দেহ ব্যবসা সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন এমন অভিযোগ অহরহ। ঐ এলাকার মানুষ তার জোড়জুলুম ও অত্যাচারে অতিষ্ঠ ।
এলাকার কিছু বিএনপি’র নেতা-কর্মীর আশ্রয় প্রতিনিয়ত চালিয়ে যাচ্ছে তার এই অবৈধ সম্রাজ্য। জিয়া পরিচালিত পতিতালয়ে শুক্রবার রাতে পুলিশি অভিযানে আজু শাহ মাজারের পাশে চারতলা ভবনে একটি ফ্লাট থেকে বেশ কয়েকজন তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেন পুলিশ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে 28 নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী আলো বলেন জিয়াউর রহমান জিয়ার অসামাজিক কার্যকলাপে বাধা দিতে গেলে লাঠিসোটা ও রামদা দিয়ে আক্রমণ চালায় এলাকাবাসী উপর।
এ ব্যাপারে এলাকাবাসী যুবসমাজকে ধ্বংস কারী মাদক ব্যবসা ও তার অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে জোরালোভাবে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করছি।