মোহাম্মদ ইকবাল হাসান সরকারঃ
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরবর্তী ঘটনা স্মৃতিচারণ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করে মোশতাক এটাই প্রমাণ করে দিল যে তারা একই সঙ্গে ছিল এবং একই সঙ্গে চক্রান্তে তারা সম্পৃক্ত ছিল। কিন্তু মোশতাক বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি, এটা খুব স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ইতিহাসের দিকে যদি তাকাই, সিরাজউদ্দৌলার সঙ্গে বেঈমানি করেছিল মীরজাফর।ব্রিটিশ বেনিয়ার দল তাকে ব্যবহার করেছিল। কিন্তু সেও কিন্তু তিন মাস ক্ষমতায় থাকতে পারেনি।দুই মাসের কিছু সময় পরে তাকে বিদায় নিতে হয়েছিল। ঠিক মোশতাকও তাই।যাদের প্ররোচনায় সে বেইমানিটা, মুনাফেকিটা করেছিল, জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডে মদদ দিয়েছিল, তারা কিন্তু তাকে ক্ষমতায় রাখে নাই।ক্ষমতায়.. আসল যিনি নায়ক, খলনায়ক, সেই চলে আসলো সামনে। সে হল জিয়াউর রহমান।”বঙ্গবন্ধুর ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল ২৩ আগস্ট, ২০২০ ইং তারিখ রোববার ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়া যেমন জাতির পিতা হত্যার সঙ্গে জড়িত, জাতীয় চার নেতাকে হত্যার সঙ্গে জড়িত,একের পর এক ক্যু করে সেনাসদস্যদের হত্যা করেছে, মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের হত্যা করেছে… খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে ঠিক একই ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যেমন সেই আবদুল আলিম থেকে শুরু করে মাওলানা মান্নান থেকে শুরু করে শাহ আজিজ থেকে শুরু করে তাদেরকে মন্ত্রী, প্রধান মন্ত্রী এবং উপদেষ্টা বানিয়েছিল, একইভাবে আমরা দেখেছি খালেদা জিয়া সেই নিজামী থেকে শুরু করে যারা যারা একেবারে সরাসরি বুদ্ধিজীবী হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদেরকে মন্ত্রী বানিয়েছিল, খুনি রশীদ এবং হুদা- তাদের ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে ভোট চুরি করে পার্লামেন্টে এনে বিরোধী দলের নেতার আসনে বসায়।’১৫ আগস্টের ঘটনা স্মৃতিচারণ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘৪৫ বছর পার হয়ে গেছে।এটা ভাবতে আমাদের অবাক লাগে। যিনি আমাদের স্বাধীনতা এনে দিলেন, মুক্তি এনে দিলেন, আত্মপরিচয়ের সুযোগ দিলেন, একটা জাতি হিসেবে আত্মমর্যাদা এনে দিলেন, তাকেই হত্যা করা হয়েছিল এ দেশের মাটিতে।বারবার মৃত্যুর মুখে তিনি পড়েছেন। কিন্তু কখনো কোনো মতেই জাতির যে আকাঙ্ক্ষা, জাতির জন্য তিনি যে কিছু করতে চেয়েছেন, এই বাঙালি জাতির জন্য তিনি জীবনকে যে উৎসর্গ করেছিলেন, তার আদর্শ সামনে নিয়েই তিনি এগিয়ে গেছেন।কখনো পেছন ফিরে তাকাননি, মৃত্যুকে পরোয়া করেননি। জেল-জুলুম অত্যাচার কোনো কিছুর তিনি পরোয়া করেননি।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৪ আগষ্ট ২০২০/ইকবাল