শাহিন আহম্মেদ, কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ
করোনার প্রাদুর্ভাবের পর থেকে বিশ্বব্যাপী সবাই ঘরবন্দী। বন্ধ স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। হাজার হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক লকডাউন শুরুর পর শিক্ষা ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ অনিশ্চয়তার মধ্যেই ছিলেন। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনলাইনে ক্লাস নেওয়া শুরু করে।কেরানীগঞ্জের মধ্যে বিশেষ করে তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছে যেন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা ও শিক্ষাবর্ষের ক্ষতি না হয়।কয়েক মাস ধরেই বিদ্যালয়ে অনলাইনের মাধ্যমে সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস করাচ্ছে।বিদ্যালয় কতৃপক্ষের ভাষ্য, তারা সব সময় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে প্রচেষ্টা থাকে। তাই ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা প্রদানের জন্য তারা বেশ সফলতার সঙ্গেই অনলাইনে ক্লাস নেওয়া শুরু করে মার্চ মাসে লকডাউন শুরুর পর থেকেই।এবং তারা অনলাইনে পাঠদানের পর শিক্ষার্থীদের পরিক্ষা নিচ্ছে।অভিভাবকেরা জানেন, তাঁদের সন্তান বাইরে অন্য শিক্ষার্থী বা শিক্ষকদের সংস্পর্শে আসছে না এবং বাড়িতেই নিরাপদে থাকছে। করোনাকালে কেরানীগঞ্জে অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষার্থী যেখানে এখনো অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে, সেখানে তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় অনলাইন ক্লাসের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা এখন থেকেই শিখতে পারছে কীভাবে ডিজিটাল মাধ্যমে যোগাযোগ করতে হয় বা ঘরে বসেই অফিসের কাজ করা যায়, যা ভবিষ্যতে তাদের প্রয়োজন হবে।তেঘরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল রাজ্জাক বলেন, শিক্ষার্থীরা স্কুলে শারীরিকভাবে উপস্থিত না থাকলেও অনলাইনে তাদের শিক্ষা ও ক্লাসে কোনো ব্যাঘাত ঘটছে না; বরং অনলাইনে ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কোভিড–পরবর্তী বিশ্বের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করছে।অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সুবিধা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের ঘরে বসেই নিরাপদে ক্লাস করতে পারছে। শিক্ষার্থীরা ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমেই শিক্ষক ও তাদের সহপাঠীদের সঙ্গে ক্লাস ক্লাস করেছে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৯ আগষ্ট ২০২০/ইকবাল