জিসান আহমেদ জুটন,সিলেট থেকেঃ
সিলেটে প্রাইভেট হসপিটাল অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়ন নিয়ে হাসপাতাল মালিকরা বেকায়দায় পড়েছেন।তাদের অভিযোগ ,আগামী ২৩ আগস্টের মধ্যে লাইসেন্স নবায়নের চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দেয়া হলেও বিষয়টি তাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।স্থানীয় প্রশাসন সব ধর নের সহযোগিতা করলেও স্বাস্থ্য অধিদফতরের কালক্ষেপণের কারণে তারা বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।এ সংকট দ্রুত নিরসনের দাবি জানান তারা।গতকাল ১৭ আগষ্ট ২০২০ ইং তারিখ সোমবার সিলেট প্রাইভেট হসপিটাল অ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।নগরীর নূরজাহান হাসপাতালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ডা. নাসিম আহমদ বলেন, করোনাভাইরাস মহামারীকালেও নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী জুনের পর থেকে একজন রোগীও বিনা চিকিৎসায় কোনো হাসপাতাল থেকে ফেরত যাননি।তিনি বলেন, দুর্যোগকালে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা যখন ব্যস্ত তখন নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেয়া হলে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি ডা. মো. আবু ইউসুফ ভূঞা, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আজিজুর রহমান রোমান, কোষাধ্যক্ষ জাকির আহমদ চৌধুরী, ডা. মোতাব্বীর হোসেন ও ডা. মুনিম আহমদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।ডা. নাসিম আহমদ আরও বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো সরকারের নিয়ম অনুসারে এতদিন ধরে লাইসেন্স গ্রহণ ও নবায়ন করে আসছে।২০১৭ সাল পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে তা চলে আসছিল। ২০১৮ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের অটোমেশন পদ্ধতি চালুর পর আর লাইসেন্স নবায়ন করেনি। এ কারণে তিন বছর ধরে আমরা লাইসেন্স নবায়নের অপেক্ষায় আছি।করোনাকালে সংক্ষিপ্ত সময়ে লাইসেন্স নবায়নে সীমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরে অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ডা. নাসিম বলেন, লাইসেন্স নবায়ন অথবা আবেদনের ক্ষেত্রে পরিবেশ অধিদফতর, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ছাড়পত্র এবং ট্রেড লাইসেন্স আবশ্যক করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।কিন্তু এ পরিস্থিতিতে এসব সংগ্রহ করা কেবল দুরূহই নয় অসম্ভবও।একই সঙ্গে ছাড়পত্র ও নবায়ন ফি কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশন ৫০ শয্যার হাসপাতালের ট্রেড লাইসেন্স ফি পাঁচ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০ হাজার টাকা ধার্য করেছে।ডা. নাসিম আহমদ বলেন, করোনাকালে অন্য চিকিৎসা থেকে হাসপাতালগুলোর আয় যখন শূন্যের কোঠায় তখন ট্রেড লাইসেন্স, রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ফি বৃদ্ধি আরও সংকট তৈরি করবে। তিনি বলেন, আয় কমে যাওয়া ও পরিচালন ব্যয় বৃদ্ধির কারণে বহু হাসপাতাল ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।তিনি বলেন, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গিয়ে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় প্রাণ হারিয়েছেন চিকিৎসকরা।সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করা হয়।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৮ আগষ্ট ২০২০/ইকবাল