রুহুল আমীন খন্দকার, ব্যুরো প্রধান :
নওগাঁর আত্রাই উপজেলা সদরের সাহেবগঞ্জ থেকে শিবগঞ্জ মোড় পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সংস্কার করা হয়েছে। গত ২ দিনে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দারুল উলুম কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা রাস্তাটি সংস্কার করেন।স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত কয়েক দিনের অতিবর্ষণে রাস্তাটি ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। এতে করে হাজার হাজার মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েন। উপজেলা পরিষদের পাশেই রাস্তাটির অবস্থান হলেও সংস্কারে কেউ এগিয়ে আসেনি। এই অবস্থায় আত্রাই মদীনাতুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রাস্তা সংস্কারে এগিয়ে আসে।মাদ্রাসাটির প্রধান শিক্ষক মাওলানা মো. মুজাহিদ খান জানান, এই সড়কে একটি কেজি স্কুল, কওমী মাদ্রাসা, একটি কেন্দ্রীয় গোরস্থান ও কলকাকলী মডেল স্কুল এণ্ড কলেজ নামের একটি বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছাড়াও শিবপুর গ্রামসহ এলাকার হাজার হাজার লোকজনের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি অতি বর্ষণে ভেঙে যাওয়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। উপজেলা সদরের একেবারে নিকটবর্তী হলেও এ রাস্তাটি যুগ যুগ থেকে পাকাকরণ না হওয়ায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে জনসাধারণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এবারেও কয়েক দিনের লাগাতার বর্ষণে রাস্তাটি ভেঙে যায়। মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর চলাচল নিশ্চিত করতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তাটি সংস্কার করেন।আত্রাই শহীদ মনোয়ার নূরানী স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক ক্বারী মো. জাকির হোসেন বলেন, যুগ যুগ থেকে আমরা অবহেলিত। উপজেলা সদরের খুব কাছের মহল্লা হলেও স্বাধীনতার পর থেকে পাকা রাস্তা নির্মিত হয়নি। ফলে প্রায় প্রতিবছরেই বর্ষা মৌসুমে আমাদের এ রাস্তা ভেঙে যায়। এতে করে শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগের মধ্যদিয়ে চলাচল করতে হয়।শিবপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, এ রাস্তা দিয়ে যেহেতু শিক্ষার্থী এবং আমাদের গ্রামসহ বেশ কয়েক গ্রামের লোকজন চলাচল করেন। তাই বৃহত্তর জনস্বার্থে রাস্তাটি পাকা করা খুবই প্রয়োজন।এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী অফিসার ইউএনও মো. ছানাউল ইসলাম ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, খুব শিগগিরই রাস্তাটি পাকাকরণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৫ জুলাই ২০২০/ইকবাল