কামরুল সিকদার, বোয়ালমারী (ফরিদপুর) থেকে :
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় সরকারি খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভাল চালের সঙ্গে নিম্নমানের চাল মেশানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে, আলফাডাঙ্গা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ একরাম হাসান খান শ্রমিক দিয়ে খাদ্যগুদামে রাখা ভিজিডি-র চালের সঙ্গে নিম্নমানের চাল মিশিয়ে বস্তায় ভরছিলেন। গত তিন দিন ধরে খাদ্যগুদামেই এই নিম্নমানের চাল মেশানো হচ্ছিল। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে রবিবার (১২ জুলাই) সকালে ১১টায় আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে তিনি সরকারি খাদ্যগুদামের ভাল চালের সঙ্গে নিম্নমানের চাল মিশিয়ে বস্তায় ভরার ঘটনার সত্যতা পান। এ সময় নিম্নমানের ৪২ বস্তা চাল খাদ্যগুদামের ভেতরে ছিল। আরও বেশকিছু নিম্নমানের চালের সঙ্গে ভাল চাল মেশানো অবস্থায় মেঝেতে পড়ে ছিল। সেগুলো বস্তায় ভরা হচ্ছিল। উপজেলা চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে ওই নিম্নমানের চাল বস্তাভর্তি করতে পারেনি। জানা গেছে, এ বছর উপজেলার কুসুমদি গ্রামে অবস্থিত ‘নূর এন্ড ব্রাদার্স রাইচ মিল’ এবং ‘বিসমিল্লাহ রাইচ মিল’ থেকে মোট ৩৮৫ মেট্রিক টন চাল ক্রয় করা হয় বলে খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান। তবে চাল ক্রয়ের জন্য এ বছর ৫৭২ মেট্রিকটন বরাদ্দ ছিল বলে উপজেলা চেয়ারম্যান জানান। বাকি চাল কোথা থেকে ক্রয় করা হয়েছে-তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। চাল ক্রয়ের কোন কপিও তিনি দেখাতে পারেননি।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ বলেন, আলফাডাঙ্গায় কোন দুর্নীতি বরদাশত করা হবে না। আমি বিষয়টি জানার সাথে সাথে ইউএনও কে জানাই। ব্যবস্থা নিতে বলেছি । খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ একরাম হোসেন খান ২০ টন নিম্নমানের চাল ভাল চালের সঙ্গে লেবার দিয়ে মিশিয়েছে।জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো সাহিদার রহমান বলেন, তদন্ত টিম গঠন করা হবে। নিম্নমানের চালের অস্তিত্ব পেয়েছি। তবে চাল খাওয়ার অনুপযোগী নয়।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৩ জুলাই ২০২০/ইকবাল