ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্রে নোভেল করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ চেষ্টা ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির শীর্ষ সংক্রামক বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউসি।কাজেই এই আচরণ পরিবর্তন করা না হলে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে।গতকাল ৩০ জুন ২০২০ ইং তারিখ মঙ্গলবার সিনেট প্যানেলকে তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্রে দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। যেটা বর্তমানে চল্লিশ হাজারের কাছাকাছি রয়েছে।ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটি অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের প্রধান ফাউসি বলেন, ভ্যাকসিনের কোনো গ্যারান্টি নেই, যদিও প্রাথমিক উপাত্তগুলো অনেক সম্ভাবনাময়ী ছিল।যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা মঙ্গলবার ৪৭ হাজার বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হিসাবে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।মহামারী শুরু হওয়ার পর একদিনেই এটিই সবচেয়ে বড় সংক্রমণ। তবে এ সংখ্যা শিগগিরই দ্বিগুণ হয়ে যাবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির সরকারের সংক্রামকবিষয়ক শীর্ষ এই বিশেষজ্ঞ।ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস ও আরিজোনাকে প্রাদুর্ভাবের নতুন কেন্দ্রস্থল হিসেবে দেখা গেছে। এসব রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে।ফাউসি বলেন, পরিষ্কারভাবেই করোনার ওপর আমাদের পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই। আমি খুবই উদ্বিগ্ন। কারণ পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে চলে যেতে পারে।ফাউসি বলেন, ভাইরাসের উত্থান থামাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া না হলে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখে পৌঁছাতে পারে। যেসব এলাকায় করোনার উত্থান ঘটছে, সেসব এলাকায় কেবল নজর দিলেই চলবে না। এটি পুরো দেশকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে।তিনি বলেন, টিকা উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে কোনো নিশ্চয়তা দেয়া যাচ্ছে না। যদিও প্রথম দিকের উপাত্তে অনেক সম্ভাবনা দেখিয়েছিল। আশা রাখি– আগামী বছরের শুরুতে টিকার ডোজ সুলভ।রয়টার্সের হিসাব বলছে, জুনে অন্তত ১০টি রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। যার মধ্যে টেক্সাস ও ফ্লোরিডা রয়েছে।অতি সংক্রামক কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে এক লাখ ২৬ হাজারের বেশি আমেরিকান মারা গেছেন। লাখ লাখ লোক কর্মসংস্থান হারিয়েছেন।দেশটির বড় বড় শহরটির অধিবাসীদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্যও বন্ধ ছিল।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/ ১জুলাই ২০২০ /ইকবাল