কুড়িগ্রামের চিলমারী সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার ১১জন শিক্ষার্থীর এসএসসির ফলাফল গত দুই বছরেও পায়নি। যার কারণে তাদের ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, ২০০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে দাখিল ভোকেশনাল বিভাগে ভর্তি হয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন শিক্ষার্থীরা। সে বছরেই সবার এসএসসির ফলাফল আসলেও তাদের ফলাফল আসেনি। পরীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় ইন্ডাষ্ট্রিয়াল এটাচম্যান্ট ট্রেনিং এর ব্যবহারিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি শিক্ষকরা ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর বোর্ডে না পাঠানোর কারণে এমন হয়েছে। এ ব্যাপারে চিলমারী সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন। অধ্যক্ষ সে বছরের নম্বর পত্র পাঠাননি বলে স্বীকার করেন এবং এ বছরে সমন্বয় করার আশ^াস দিয়ে আবারো তাদের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করে তাদের ফলাফল ঠিক করার আশ^াস দেন। শিক্ষার্থীরা শিক্ষকের দেয়া আশ^াস নিয়ে ফিরে যান এবং অপেক্ষা করেন ফলাফলের জন্য। কিন্তু গত ৩১ শে মে এসএসসির ফলাফল প্রকাশ হলে আবারো শিক্ষার্থীদের পাশের ফলাফল আসেনি। শিক্ষার্থীরা আবার অধ্যক্ষের সাথে যোগাযোগ করতে গেলে বিভিন্ন তালবাহানা দেখিয়ে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীরা কোন উপায় না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ, ডবিøউ, এম রায়হান শাহ্ বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে একটি অভিযোগ পত্র পেয়েছি। বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট আসলে খুব দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আবু তাহের বলেন, ইউএনও স্যার আমাকে তদন্ত করতে বলেছে। আমি এখনো তদন্ত করিনি আগামি সপ্তাহে তদন্ত করব।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ একরামুল হক বিক্রম এর সাথে মোবাইল ফোন (০১৭১৪৫৩৭২৩৫) নম্বরে ফোন করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ডিটেকটিভ/৩জুন ২০২০/ইকবাল