-
- অপরাধ, রাজনীতি, সারাদেশে
- লামায় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা কানু দাস বহিস্কার
- আপডেট সময় June, 3, 2020, 10:28 pm
- 218 বার পড়া হয়েছে
ইসমাইলুল করিম,লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি :
লামায় চাঁদাবাজীর অভিযোগে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বহিস্কার। দলীয় চাঁদাবাজ শুণ্য লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের দীর্ঘ লালিত ঐতিহ্য ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াসকারী একজন কানু দাস, এমন মন্তব্য নেতা কর্মীদের। চাঁদা আদায়ের ঘটনায় তাৎক্ষণিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাঝে তা ফেরৎ ও সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেয়ায়, দলের ভাবমূর্তি রক্ষা পেয়েছে, মন্তব্য স্থানীয়দের।
অনুসন্ধানে জানাযায়, বিগত লকডাউনের শেষদিকে পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি কানু দাস পৌর বাস স্টেশন এলাকায় ভ্রাম্যমান ব্যবসায়দেরকে ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদাবাজী করে। খবর পেয়ে পৌর মেয়র-উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাৎক্ষণিক উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক এর মাধ্যমে উত্তোলিত টাকা ফেরৎ দিতে বাধ্য করেন কানু দাসকে। এই ঘটনার জের ধরে পরদিন ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ জরুরী বৈঠক ডেকে, কানুদাসকে পদ থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেন।
এনিয়ে জানতে চাইলে পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মো: রফিক কাউন্সিলর জানান, চাঁদাবাজীর অভিযোগে কানুদাসকে পদ থেকে বহিস্কার করে সিনিয়র সহসভাপতিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট গঠিত কমিটির রিপোর্ট পেলেই, দলের সুণাম ক্ষুন্ন করার দায়ে কানু দাসের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ কান্তি দাস জানান, “ঘটনার তাৎক্ষণিক আমি উপস্থিত হয়ে উত্তোলিত টাকা ফেরৎ দিতে বাধ্য করেছি কানু দাসকে। বিষয়টি খুবই দু:খ জনক, সে কেন এ কাজ করলো জানিনা“, তবে কানুদাস দাবী করেছিলো, ”মহেশখালী থেকে সম্ভাব্য রোগ নিয়ে আসায় তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি”।
মঙ্গলবার (২ মে/২০২০) সন্ধ্যায় কানুদাসের সাথে আলাপকালে সে জানায়, “আমি ভুল করেছি”। কানু দাস আরো জানায়, সে একটি অর্থলগ্নি প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক। ওই প্রতিষ্ঠানের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তার ভাভমূর্তি ক্ষুন্ন করার পায়তারাও করছে একটি মহল।এদিকে সাংগঠনিক ব্যাবস্থা নেয়ায়, স্থানীয়রা দলীয় নেতৃবৃনএদর প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
লামায় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা কানু দাস বহিস্কার।
ডিটেকটিভ/৩জুন ২০২০/ইকবাল
এ জাতীয় আরো খবর