ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
নাগরিকত্ব আইনের জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ বাধতে পারে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। একই সঙ্গে ভারত ছেড়ে পালিয়ে লাখ লাখ মুসলিম শরণার্থী হতে পারেন বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের নতুন নাগরিকত্ব আইন এবং কাশ্মীরে কারফিউয়ের কারণে মুসলিমরা পালাতে পারেন এবং এভাবে একটি শরণার্থী সংকট তৈরি হতে পারে।যে সংকট ছাপিয়ে যেতে পারে অন্য সব সংকটকে।’ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্ব শরণার্থী ফোরামে মঙ্গলবারের ভাষণে ইমরান খান এসব কথা বলেন। খবর রয়টার্সের।পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শুধু শরণার্থী সংকট নিয়েই নয় বরং এ থেকে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা নিয়েও উদ্বিগ্ন।’ ‘পাকিস্তান আরও শরণার্থীর জন্য জায়গা করে দিতে সক্ষম নয়’ জানিয়ে ইমরান খান বিশ্বকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।এর মাত্র পাঁচদিন আগেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদী কর্মসূচি নিয়ে এগোচ্ছেন বলে ইমরান মন্তব্য করেছিলেন। এক টুইটে তিনি লিখেছিলেন, ‘মোদির শাসনে ভারত হিন্দু শ্রেষ্ঠত্ববাদী কর্মসূচি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীর অবৈধভাবে অধিগ্রহণ করা থেকে শুরু করে, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি), আটক কেন্দ্র স্থাপন, আর এখন নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন করার মধ্য দিয়ে তা চলছে।ভারত সরকারের নাগরিকত্ব আইনের সাম্প্র্রতিক এ পদক্ষেপটি নিয়ে দেশজুড়ে উত্তাল বিক্ষোভ চলার মধ্যেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান মুসলিমদের নিয়ে ওই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন।তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বারবারই বলে আসছেন, ‘নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কোনো ভারতীয়র চিন্তার কারণ নেই। কয়েক বছর ধরে নিপীড়নের শিকার হওয়া বিদেশি যাদের, ভারত ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়ার উপায় নেই, এ আইন শুধু তাদের জন্য।’মঙ্গলবার মোদি বিরোধী দল কংগ্রেসসহ অন্যদের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সাহস থাকলে কংগ্রেস ও তার শরিক দলগুলো ঘোষণা দিয়ে বলুক যে, তারা সব পাকিস্তানিকেই ভারতীয় নাগরিক করতে চায়।তারা এ ঘোষণা দিলে দেশ তার জবাব দিয়ে দেবে।’ কংগ্রেসই মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন মোদি।ইমরানের এ মন্তব্যের জবাবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার এক বিবৃতিতে জানান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যেক মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানানোর কোনো প্রয়োজন নেই আমাদের।তার সব মন্তব্যই অনর্থক। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলিয়ে বরং তার উচিত নিজ দেশের সংখ্যালঘুদের দিকে মনোনিবেশ করা।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৮ ডিসেম্বর ২০১৯/ইকবাল