পাঁচ স্ত্রী চালাতে ৫০ নারীর সঙ্গে প্রতারণা
ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দিলশাদের ঘরে পাঁচ পাঁচজন স্ত্রী। আর তাদের ভরণপোষণের জন্যই তাকে প্রতারণায় নামতে হয়। তার সঙ্গে রয়েছে অলোক কুমার নামে একজন। দুইজনে মিলে অন্তত ৫০ নারীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন তারা। ঘটনা ভারতের মধ্যপ্রদেশের।
ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, মধ্যপ্রদেশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) অনুসন্ধানে নেমেই ওই প্রতারক চক্রের খোঁজ পায়। ওই চক্র চাকরির নাম করে অন্তত ৫০ জন মহিলাকে প্রতারণা করেছে। তাদের ভুপালের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সে (এমস) চান্স পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
খবরে বলা হয়, অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে এসটিএফ। এর পরই চক্রের পাণ্ডা দিলশাদ খানকে গ্রেফতার করে। দিলশাদের বাড়ি মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে। দিলশাদ ছাড়াও ভুপাল থেকে অলোক কুমার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে এসটিএফ। আর কে কে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দল।
স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের এডিজি অলোক অবস্থি বলেন, এই চক্রটি ৫০ জনের বেশি মহিলার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। প্রতারিতদের সবাইকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় নার্স হিসেবে ভুপাল এমসে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হবে।
তদন্তে জানা গেছে, দিলশাদ খানের পাঁচ জন স্ত্রী। জেরার মুখে দিলশাদ জানিয়েছেন, স্ত্রীদের ভরণপোষণের জন্য তিনি প্রতারণা করতে শুরু করেন। দিলশাদের এক স্ত্রী জব্বলপুরে একটি ক্লিনিক চালান। আর এক অভিযুক্ত অলোক কুমারের স্ত্রী একটি সরকারি গার্লস হোস্টেলের সুপারিনটেন্ডেন্ট।
তবে দুই অভিযুক্তের স্ত্রীরা এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন। তবে এই প্রতারণার সঙ্গে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল কি না- তা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন এক তদন্তকারী অফিসার।