বিশ্ব কাশ্মীর প্রশ্নে নীরব কেন, প্রশ্ন ইমরান খানের
ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারত অধ্যুষিত কাশ্মীরে চলমান সঙ্কট নিয়ে বিশ্ববাসী নীরব কেন, প্রশ্ন করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এ অঞ্চলে মুসলমানদের ‘জাতিগতভাবে নির্মূল’ করতে চাইলে মুসলিম বিশ্বে চরম প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এক বার্তায় এসব কথা বলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ এবং সেখানে কারফিউ জারি ও সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার ১২তম দিনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ভারতের স্বাধীনতা দিবস। কাশ্মীরে ভারত সরকারের ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ ও ‘নির্মমতা’ চালানোর প্রতিবাদে পাকিস্তান জুড়ে দিনটি কালো দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।
মোদী সরকারের সমালোচনা করে টুইটারে ইমরান খান লেখেন, ভারতের দখলকরা কাশ্মীরে কারফিউর ১২তম দিন। ইতোমধ্যেই সেনা অধ্যুষিত ওই এলাকায় আরও সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। পুরো এলাকা সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন- এর সঙ্গে রয়েছে অতীতে গুজরাটে মোদীর জাতিগতভাবে মুসলিম নিধনের উদাহরণ।
‘বিশ্ববাসী কী নীরব থেকে কাশ্মীরে (বসনিয়া ও হার্জেগোভেনিয়ার) স্রেব্রেনিকার মতো আরেকটি মুসলিম নিধন দেখতে চায়? আমি আন্তর্জাতিক মহলকে হুঁশিয়ার করতে চাই, যদি তাই হয়, তাহলে মুসলিম বিশ্বে তা তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে। আর এতে করে মৌলবাদ ও সহিংসতার নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে।’
গত সপ্তাহে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির এক বৈঠকে পাকিস্তানে ১৫ আগস্টকে কালো দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার দ্বারা স্বায়ত্তশাসিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ ও ওই অঞ্চলকে দুই ভাগ করার প্রতিবাদে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কাশ্মীর দখল ও ওই এলাকায় সংকট সৃষ্টির জন্য ভারতকে তীব্র নিন্দা জানায় পাকিস্তান।
এর আগে বুধবার পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে ভারত অধ্যুষিত কাশ্মীরিদের সংগ্রামে সংহতি প্রকাশ করেন ইমরান খান।
এদিন এক ভাষণে তিনি বলেন, যেহেতু কাশ্মীরিরা লড়াকু ও মরতে ভীত নয়, সেহেতু মোদীর ওই অঞ্চল দখলের স্বপ্ন দেখা বৃথা। ভারত বীর কাশ্মীরিদের পরাধীন করে রাখতে পারবে না। ইমরান খান এ সময় জার্মানির নাৎসি বাহিনী এবং ভারতের বিজেপি ও রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘ (আরএসএস) একই বৈশিষ্ট্যের অধিকারী বলে মন্তব্য করেন।