October 10, 2024, 6:13 pm

সংবাদ শিরোনাম
বাংলাদেশের আইন ও বিচার ব্যবস্থা সংশোধন করিতে হবে – পর্ব ৯ আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপূজা শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসন ও জনগণের প্রীতি আহ্বান – পর্ব ৮ প্রশাসন সংস্থা ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে শাসন ব্যবস্থা চলতে পারে না-পর্ব ৭ মাতৃভূমির এক ইঞ্চি জমি ছাড় দেওয়া হবে না, পর্ব ৬ স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমি রক্ষা করতে হলে প্রতিটি ঘরে সেনাবাহিনী তৈরি করতে হবে(পর্ব-৫) আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি

জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি এখন এক ‘যুদ্ধের হুঙ্কার’, রামের নামে উন্মাদনা বন্ধ হোক

জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি এখন এক ‘যুদ্ধের হুঙ্কার’, রামের নামে উন্মাদনা বন্ধ হোক

ডিটেকটিভ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ভারতে গণপিটুনি ও ধর্মের নামে উন্মাদনা বেড়ে চলায় প্রধানমন্ত্রীকে লেখা খোলা চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্টজনেরা। চিত্র পরিচালক, অভিনেতা, লেখক, সাহিত্যিক, সমাজসেবী, চিকিৎসক, পরিবেশবিদ, ভাস্কর, চিত্রকর, শিক্ষাবিদ, গায়ক, ফ্যাশন ডিজাইনারের মতো বিভিন্ন পেশার ৪৯ জন বিদ্বজ্জন ওই চিঠিতে সই করেছেন। চিঠিতে দলিত, মুসলিম ও অন্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে যেসব অপরাধমূলক ঘটনা ঘটছে অবিলম্বে তা বন্ধ করার দাবি জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তাঁদের বক্তব্য, ‘জয় শ্রীরাম এখন এক ‘যুদ্ধের হুঙ্কার’। এই স্লোগানকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। সবচেয়ে আতঙ্কের, এই উন্মাদনা, এই বিশৃঙ্খলা হচ্ছে ধর্মের নামে। এটা তো মধ্যযুগ নয়। রামের নামে এই উন্মাদনা আপনি অবিলম্বে বন্ধ করুন।’

এ প্রসঙ্গে প্রখ্যাত চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেন বলেন, “সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার হচ্ছে। ‘জয় শ্রীরাম’ বলে মারধর চলছে। আজ যদি একজন মুসলিমকে ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করা হয়, তা কি সমীচীন হবে? প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ অত্যন্ত জরুরি। দেশজুড়ে প্রতিবাদ হওয়া উচিত।”

বিশিষ্ট অভিনেতা ও নাট্যকার কৌশিক সেন বলেন, “জয় শ্রী রামের মতো একটা ধর্মীয় মন্ত্রকে কীভাবে যুদ্ধনিনাদে পরিণত করা যায়, তা গোটা দেশ দেখছে। বিজেপির বিচারধারায় কারও সঙ্গে না মিললে তাকেই ‘দেশদ্রোহী’ বলে দেগে দেয়া হচ্ছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে সে ব্যাপারে চিঠি  দিয়েছি।”

অপর্ণা সেন, মণিরত্নম, শ্যাম বেনেগাল, কেতন মেটা, অনুরাগ কাশ্যপ, আদুর গোপাল কৃষ্ণন, কৌশিক সেন, সুমন ঘোষ, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, ঋদ্ধি সেন, সংগীত শিল্পী শুভা মুদগল, অনুপম রায়, রূপম ইসলামের মতো ব্যক্তিত্বরা ওই চিঠিতে সই করেছেন।

সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, “সংসদে গণপিটুনির মতো ঘটনার আপনি নিন্দা করেছেন। কিন্তু সেটাই যথেষ্ট নয়। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে? আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি, এ ধরণের অপরাধের  বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করতে হবে যাতে দ্রুত ও নিশ্চিত ভাবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা যায়।”

তাদের প্রশ্ন- হত্যার ঘটনার ক্ষেত্রে যদি প্যারোল ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান থাকে, তাহলে গণপিটুনির ক্ষেত্রে কেন নয়, যেটা বরং আরও ঘৃণ্য? কোনো দেশেই কোনো নাগরিক ভয়-ভীতির মধ্যে থাকুক এটা কাম্য নয় বলেও বিশিষ্টজনের প্রধানমন্ত্রীকে সাফ জানিয়েছেন।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর