October 18, 2024, 1:29 pm

সংবাদ শিরোনাম
ফুটওভার ব্রিজের উপর থেকে টার্গেট ছিনতাইকারীদের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইমরানের রাজউকে শক্তিশালী সিন্ডিকেট তথ্য সংগ্রহকালে সাংবাদিককে হুমকি বারুদের গন্ধ বিশ্ববাসী সহ্য করতে পারছেন না (পর্ব ১৩) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল( বিএনপি) ভুল পথে কেন (পর্ব- ১২) মাতৃভূমি সুরক্ষার জন্য আবারো রক্ত দিতে হবে কেন? পর্ব -১১ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে তিনজন কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে দুই বিয়াইয়ের মৃত্যু শাহবাগে ছাত্র জমিয়তের সীরাত সম্মেলন অনুষ্ঠিত সুন্নাহর মাঝেই রয়েছে বৈষম্যমুক্ত আদর্শ দেশ গড়ার চাবিকাঠি কুড়িগ্রামে হত্যায় মামলায় সাংবাদিকদের আসামী! কক্সবাজারে অভিযানে ৬ দূর্বৃত্ত অস্ত্র সহ আটক

ভারতের পেট্রাপোলে হুডির টাকাসহ বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি আবুল বাশারের সহকারি আটক

ইয়ানূর রহমান,শার্শা (যশোর) প্রতিনিধিঃ

বেনাপোল ইমিগ্রেশনের বহুলালোচিত অফিসার ইনচার্য (ওসি) আবুল বাশারের একান্ত পাবলিক সহকারি রুহুল (৩০) হুডির টাকাসহ ভারতের পেট্রাপোল বিএসএফ’র কাছে আটক হয়েছে বলে জানাগেছে। এ নিয়ে দু’দেশের চেকপোস্ট এলাকায় গুঞ্জন চলছে।স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, প্রদিদিনের ন্যায় গত ১৭ জুন সোমবার বেলা ১২টার দিকে বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ওসি আবুল বাশারের নির্দেশে ভারতের পেট্রাপোলে যায় ইমিগ্রেশন পুলিশের কনস্টেবল আযম, রোমানা, তিষা ও ওসি’র একান্ত (পাবলিক) সহযোগী রুহুল। পরে ভারত থেকে ফেরার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ তিন পুলিশ কনস্টেবলসহ রুহুলকে আটকের পর তাদের শরীর তল্লাশী করে ১২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করেন বিএসএফ সদস্যরা। পরে ওসি আবুল বাশারের বিশেষ অনুরোধে দীর্ঘ সময় পর উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর ন্যায় তিন পুলিশ সদস্যকে মুক্ত করে পাবলিক রুহুলের কাছ থেকে উক্ত হুন্ডির টাকা জব্দ দেখানো হয়েছে বলে জানাযায়।এদিকে, ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি আবুল বাশারের পক্ষ থেকে তদবির মিশনে নামেন এসআই পলাশসহ কনস্টেবল আযম। সাংবাদিকদের ডেকে সৌদিয়া পরিবহন কাউন্টারের মধ্যে টাকার বান্ডিল দিয়ে সংবাদটি প্রকাশ না করার জন্য বলা হয়। সংবাদকর্মীরা টাকার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে কনস্টেবল আযমকে সঠিক ঘটনাটি বলার জন্য অনুরোধ করেন। কনস্টেবল আযম বলেন, তারা ভারতের পেট্রাপোল চেকপোস্টে গিয়েছিলেন কিছু কেনাকাটার উদ্দেশ্যে। ফেরার পথে বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে ডেকে নিয়ে সকলকে তল্লাশী করে রুহুলের কাছ থেকে প্রায় ২লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছেন। পরে ওসি আবুল বাশার গিয়ে তাদের তিন পুলিশ সদস্যদের ছাড়িয়ে এনেছেন।এ বিষয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবুল বাশার বলেন ঘটনার কিছুটা সত্য, কিছুটা মিথ্যা। তিন পুলিশ কনস্টেবল পেট্রাপোলে গিয়েছিল কেনাকাটার উদ্দেশ্যে। কেনাকাটা শেষে দেশে ফেরার সময় বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে আটক করে তল্লাশী করে। এসময় রুহুল নামের অপরিচিত এক পাবলিকের কাছ থেকে ২লক্ষ টাকা উদ্ধার করে বিএসএফ সদস্যরা। এ কর্মকান্ডের সাথে পুলিশ সদস্যরা জড়িত ছিলনা বিধায় তাদেরকে ছাড়িয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া রুহুলকে তিনি চেনেন না বলে জানান এ প্রতিবেদককে।তবে, রুহল তার একান্ত সহকারি এবং তার সমস্ত অপকর্মের প্রধান বাহক বলেও জানান (নাম প্রকাশ না করার শর্তে) ইমিগ্রেশন এলাকার কতিপয় পুলিশ সদস্য। ইমিগ্রেশন ওসির কিছু অপকর্মের মধ্যে হুন্ডি ও স্বর্ণ পাঁচার মূখ্য বিষয়। তিনি বিভিন্ন সময়ে চোরাচালানীদের সাথে সখ্যতা রেখে চুক্তির মাধ্যমে গোল্ড ও হুন্ডির টাকা পারাপারসহ বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত রয়েছেন। প্রতিদিন তিনি রুহুলসহ কোন-না কোন পুলিশ সদস্যদের ভারতে যাতায়াত করিয়ে অজ¯্র টাকার পাহাড় গড়েছেন। যে যাতায়াতের দৃশ্য এপার বাংলা ও ওপার বাংলার দু’চেকপোস্ট এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখলে জানাযাবে। এছাড়া তিনি বিগত কয়েকমাস পূর্বে রয়েল কোচের কতিপয় সদস্যদের মাধ্যমে রোহিঙ্গা পার করেও বিপুল টাকার মালিক হয়েছেন বলেও জানান এসকল পুলিশ সদস্য। বিষয়টি নিয়ে দুদকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ঠ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারি সংস্থা ওসি আবুল বাশারের নামে বে-নামে সকল সম্পত্তি ও ব্যাংক হিসাবের খোজ নিলে বেরিয়ে আসবে প্রকৃত রহস্য বলেও জানান তারা।

প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৮ জুন ২০১৯/ইকবাল

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর