টেকনাফ সোলারটেক ফাইন্যান্স এশিয়ার ‘অ্যাচিভমেন্ট’ পুরস্কার পেল
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
এ বছর বাংলাদেশের ‘সেরা আর্থিক লেনদেনের’ জন্য দেশের প্রথম সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র টেকনাফ সোলারটেক এনার্জিকে পুরস্কার দিচ্ছে হংকংভিত্তিক অর্থ-বাণিজ্যের সাময়িকী এশিয়া ফাইন্যান্স।
চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, পাকিস্তানসহ এশিয়ার দেশগুলোতে ২০১৮ সালে যে সব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে প্রতিটি দেশের সবচেয়ে ভালো লেনদেনের উদ্যোগগুলোকে ‘অ্যাচিভমেন্ট’ অ্যাওয়ার্ডের জন্য নির্বাচিত করেছে ফাইন্যান্স এশিয়া।
এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের আর্থিক খাতে কার্যক্রম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে থেকেও পুরস্কৃত করছে তারা।
এশিয়ার মুদ্রা ও পুঁজিবাজার নিয়ে নিয়মিত গবেষণা ও বিশ্লেষণ করে ফ্যাইনান্স এশিয়া। ২০১৮ সালের ‘বেস্ট বাংলাদেশ ডিল’ হিসেবে টেকনাফ সোলারটেক এনার্জিকে বেছে নিয়েছে তারা।
আড়াই কোটি ডলারের এই উদ্যোগে স্থানীয়ভাবে অর্থায়ন করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, ওয়ান ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক এবং সৌদি বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি। এ ছাড়া বৈদেশিক মুদ্রার সংস্থানও করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
কোম্পানিটির আইনি পরামর্শক হিসেবে আছে এভারশেডস সুদারল্যান্ড ও ডিএফডিএল বাংলাদেশ। আর কারিগরি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান অ্যাডভিসিয়ান।
দেশের সৌর বিদ্যুৎ খাতে প্রথম আইপিপি কোম্পানি হিসেবে গত সেপ্টেম্বরে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু করে ২৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার টেকনাফ সোলারটেক এনার্জি। কক্সবাজার জেলার টেকনাফের হ্নীলায় ১১৬ একর জমির উপর নির্মিত এই সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হয়েছে বলে কোম্পানির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পুরস্কার পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে টেকনাফ সোলারটেকের বেশিরভাগ শেয়ারের মালিক জুলস পাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নূহের লতিফ খান বলেন, “এ পুরস্কার আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা জোগাবে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী গতানুগতিক ব্যবসা পরিচালনা করেন। এ দেশে সৌর বিদ্যুৎ নিয়ে ব্যবসা করা অনেক চ্যালেঞ্জের। এ চ্যালেঞ্জ মাথায় নিয়েও যেসব আর্থিক প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই।”
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের ২০ মাসের মধ্যেই উৎপাদনে এসেছে টেকনাফ সোলারটেক এনার্জি। ২০ বছরের চুক্তি অনুযায়ী, সুর্যের আলোর সময় টেকনাফ সোলারটেক এনার্জি থেকে ২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে পিডিবি।
মধ্যম আয়ের দেশ থেকে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। এর আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।
টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় মোট বিদ্যুতের মধ্যে ১০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ¦ালানি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্য রয়েছে।