২০ লাখ তরুণ-তরুণীকে আইসিটি সেক্টরে আনা হবে: প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট সোসাইটির প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অনলাইন মার্কেট প্লেসে ওয়ার্ক ফোর্স হিসাবে কাজ করছে বাংলাদেশ। এখানে প্রায় ৬ লাখ মেধাবী ও দক্ষ তরুণ-তরুণী কাজ করে থাকেন। ২০২০ সাল নাগাদ দেশের ২০ লাখ তরুণ-তরুণীকে আইসিটি সেক্টরের পেশায় নিয়ে আসা হবে। গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সিনেট ভবনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে চারটি বিপ্লব ঘটেছে। প্রথমটি পণ্য পরিবহনের জন্য রেললাইন আবিষ্কার, দ্বিতীয়টি বিদ্যুৎ আবিষ্কার, তৃতীয়টি কম্পিউটার ও ইন্টারনেট আবিষ্কার আর চতুর্থটি বর্তমান সময়ে অটোমেটেড মেশিনের ব্যবহার। এখন মানুষ সবসময় ইন্টারনেটে সংযুক্ত হচ্ছে। মানুষ নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও রোবটিক্স আবিষ্কার ব্যবহারের মাধ্যমে প্রযুক্তিরজগৎ বিশাল ক্ষেত্রে পরিণত করেছে। তথ্য ও প্রযুক্তির ফলে পৃথিবী হয়ে বর্ডারলেস (সীমান্তহীন)। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় নয় কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে।
সরকারের দেওয়া ‘আর্নিং অ্যান্ড লার্নিং’ প্রশিক্ষণের কথা উল্লেখ পলক বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় ১৩ হাজার প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এরমধ্যে ১১ জন প্রশিক্ষণার্থী এক বছরে ২০ লাখ ডলার আয় করেছে। চলতি বছরে এ প্রকল্পের আওতায় আরও ৪০ হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কের প্রকল্প পরিচালক একেএম ফজলুল হক, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম সেখ, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ওসমান গনি তালুকদার প্রমুখ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম মোল্যা। এরআগে সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেন্টারে এআর, ভিআর ও এমআর ল্যাব উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ল্যাবটি রাজশাহীতে বাস্তবাধীন বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয়েছে।