June 13, 2025, 11:13 pm

সংবাদ শিরোনাম
ডাসারে কপোত-কপোতীকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি, গ্রেফতার ১ ঈদুল আযহার সরকারি ছুটির মাঝেও মাদারীপুর সদর উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে চালু আছে জরুরি প্রসব সেবা কালকিনিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভ্যানচালকের ঘর পুড়ে ছাই–সর্বস্বান্ত পরিবার ভাঙ্গায় হাঁস কিনতে এসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ৪ বছরের শিশু নাজিয়ার ঝিকরগাছার বায়সা চাঁদপুর ৪দিন গত হলেও মেলেনি সোহানা হত্যার রহস্য ঝিকরগাছায় যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র ও মোটরসাইকেলসহ আটক-৫ যশোরের শার্শায় যুবক খুন, ৬ দিনের ব্যবধানে ৩ হত্যাকান্ড নাইক্ষংছড়ি ও রামু ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা ভয়ংকর ডাকাত শাহীন অস্ত্র ও মাদকসহ যৌতবাহিনী হাতে আটক ইতালিতে স্ট্রোক করে মৃত্যুবরণ করলেন মাদারীপুরের রেমিট্যান্স যোদ্ধা শাজাহান বেনাপোলে চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে নতুন রূপে করোনা ভাইরাস, স্বাস্থ্য বিভাগের সতর্কতা

কূটনৈতিক তৎপরতায় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সামর্থ্য রাখে বাংলাদেশ: টিআইবি

কূটনৈতিক তৎপরতায় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সামর্থ্য রাখে বাংলাদেশ: টিআইবি

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক 

 

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে বাংলাদেশ রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সামর্থ্য রাখে। এখন পর্যন্ত সরকার বিষয়টি যেভাবে মোকাবেলা করছে তা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) গতকাল বুধবার বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) বাংলাদেশে অবস্থানজনিত সমস্যা : সুশাসনের চ্যালেঞ্জবিষয়ক সমীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশকালে সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতে মিয়ানমারের উপর সমন্বিত কূটনৈতিক প্রভাব এবং সুনির্দিষ্ট চাপ প্রয়োগ করতে হবে। রোহিঙ্গা সমস্যাটি একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় দিলেও আন্তর্জাতিকভাবেই এ সমস্যার সমাধান করতে হবে। কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে এ সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ সামর্থ্য রাখে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের ইতিবাচক অবস্থান, মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে এত বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সুশৃংখলভাবে আশ্রয় দেয়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। তিনি বলেন, মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সরকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ মানবিকতার প্রশংসা করছেন বিশ্ব নেতারা। টিআইবির সমীক্ষায় বলা হয়, রোহিঙ্গা সংকটটি পুরো পার্বত্য এলাকার স্থিতিশীলতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে আসতে পারে। এই সংকটের সুযোগ নিয়ে ওই এলাকার বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনসমূহের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের জোগসাজশ প্রতিষ্ঠার ঝুঁকি রয়েছে। ইফতেখারুজ্জামান বলেন, মিয়ানমারের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্বের কারণেই রোহিঙ্গাদের উপর এ জাতিগত নিধন। এটি একটি গণহত্যা। ভারত ও চীন বাংলাদেশের ভালো বন্ধু। এ দুটি দেশকে বোঝানোর দায়িত্ব বাংলাদেশের। মিয়ানমারের উপর প্রয়োজনে সামরিকসহ সকল প্রকার নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও দাবি রাখে। তিনি বলেন, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করা হলে ক্যাম্পগুলোতে নানাবিদ অপরাধ এবং সহিংসতা বৃদ্ধি পাবে, যা ইতোমধ্যেই লক্ষণীয়। এ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল নানাবিধ অপরাধে রোহিঙ্গাদের জড়িত করার ঝুঁকি রয়েছে। এ ছাড়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে সাংগঠনিক ক্ষমতা কাঠামো তৈরি হচ্ছে, যা শুরু থেকে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হিসেবে পরিগণিত হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। সমীক্ষা পরিচালনাকারী টিমের প্রধান গোলাম মহিউদ্দিন প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। সমীক্ষায় বলা হয়, ১৯৭৮ সালে প্রায় ২ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসে। এদের মধ্য থেকে ১৯৭৯ সালে ১ লাখ ৮০ হাজার জন প্রত্যাবাসন করে ও ১০ হাজার জন মারা যায় এবং ১০ হাজার জন নিখোঁজ রয়েছে। ১৯৯১ সালে পুনরায় ২ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরমধ্য থেকে মাত্র ৩০ হাজার প্রত্যাবাসন করা সম্ভব হয়। ২০১২ সালে জুন থেকে অক্টোবরের মধ্যে ১ লাখ ২০ হাজার জন এবং ২০১৪ সাল নাগাদ আরো ৮৭ হাজার নতুন আশ্রয়প্রাথী বাংলাদেশে আসে। ২০১৬ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে আরো ৯০ হাজার এবং ২০১৭ সালে এর সঙ্গে যুক্ত হয় আরো ৭৪ হাজার। সর্বশেষ চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে এখ নপর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ ৩৬ হাজার রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে। সব মিলিয়ে এখন প্রায় ৯ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। সম্প্রতি আগত রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ শিশু এবং ৬০ শতাংশ নারী। ২০ অক্টোবর পর্যন্ত সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় মোট ১৮ হাজার ৪৪৯ জন অনাথ শিশুকে চিহ্নিত করেছে। যাদের আলাদা আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ৩ লাখ ১৩ হাজার রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে বলে টিআইবির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর