বাসর রাতে বরকে হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা!
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বাসর রাতে শোয়েব আহমদ (২৭) নামে এক যুবককে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা লাশ গুমের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে জাদুকাঁটা নদীর তীর থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে ময়নতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহত শোয়েব উপজেলার বালিজুরী পশ্চিম হাটির আবদুস শহীদ ওরফে শুক্কুরের ছেলে।
পুলিশের ধারণা, শোয়েবকে সোমবার রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা শ্বাসরোধ করে হত্যার পর হাত-পা ও মুখ বেঁধে তাকে নদীতে ফেলে দিয়ে লাশ গুমের চেষ্টা চালায়।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শোয়েব আহমদের সঙ্গে গত রোববার একই গ্রামের আবদুর নুরের মেয়ে ওয়াহিদা বেগমের বিয়ে হয়। পরদিন সোমবার ছিল বাসর রাত।
এ দিন বরের বাড়িতে বৌ-ভাত অনুষ্ঠান শেষে রাত ১১টার দিকে শোয়েব শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে বাসর ঘরে না গিয়ে বাংলাঘরে অতিথিদের সঙ্গে থাকার কথা বলে বের হয়ে আসেন।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে পরিবারের লোকজন শোয়েবকে বাংলাঘরে না পেয়ে পাড়ার অন্য স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নেয়। তাকে কোথাও না পেয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়।
এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির পাশে জাদুকাঁটা নদীতে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার ভাসমান লাশ দেখতে পান স্বজনরা।
দুপুরের দিকে গ্রামবাসী ও জেলেরা লাশ উদ্ধার করে নদীর তীরে এনে রাখে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শোয়েবের লাশ উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নববধূ ওয়াহিদা বেগম বলেন, ‘আমার কেবল বিয়েটাই হলো, স্বামীর সঙ্গে দেখাও হলো না- কথাবার্তাও হয়নি, আমার কপালে কি এই লিখা ছিল?’
নিহতের বড়ভাই সোহেল মিয়া মঙ্গলবার যুগান্তরকে বলেন, আমার ভাইকে দুর্বৃত্তরা শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা করেছে।
তাহিরপুর থানার ওসি শ্রীনন্দন কান্তি ধর যুগান্তরকে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।