আজ রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণ করবে খালেদা জিয়া
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
কক্সবাজার সার্কিট হাউজে রাত কাটিয়ে আজ সোমবার দুপুরে উখিয়ার বালুখালী, বোয়ালমারা ও জামতলী রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন এবং ত্রাণ বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে খালেদা জিয়ার।
চার দিনে এই সফরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে রয়েছেন।
গতকাল রোহিঙ্গাদের দেখতে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বেলা সোয়া ১২টায় তার গাড়িবহর চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজ থেকে সড়ক পথে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
বিএনপি নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেড়শ গাড়ির এই বহর চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, রামু হয়ে কক্সবাজারে পৌঁছাবে।
গত শনিবার সকালে ঢাকা থেকে সড়কপথে রওনা হওয়ার পর চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে বিকালে ফেনীর কাছে হামলার মুখে পড়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর।
খালেদা জিয়ার গাড়ি পেরিয়ে যাওয়ার পর একদল যুবক লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালালে গণমাধ্যমকর্মীদের বাহনসহ বহরের অন্তত ৩০টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী মারধরের শিকার হন।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সজারের পথে রওনা হওয়ার আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, হামলাকারীরা যে ক্ষমতাসীন দলের ‘চিহ্নিত সন্ত্রাসী’, সে বিষয়ে তার কোনো সন্দেহ নেই।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, বিএনপি ‘পরিকল্পিতভাবে ওই ঘটনা ঘটিয়ে’ এখন সরকারের ওপর দোষ চাপাচ্ছে।
সর্বশেষ ২০১২ সালের জুন মাসে কক্সজারের রামুতে বৌদ্ধ পল্লীতে হামলা ও ভাংচুরের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে কক্সবাজার গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। তখনও তিনি ঢাকা থেকে সড়কপথে প্রথমে চট্টগ্রাম এবং পরে সেখান থেকে কক্সাজারে যান।
গত ২৫ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানের মুখে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ঢল নামলে তাদের আশ্রয় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার দিয়ে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ শেষে আজই কক্সবাজার থেকে ফিরতি পথে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে তার।