ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
বিদেশে অর্থ পাচার, খুন, দুর্নিতী, চাঁদাবাজি, দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে দুর্ব্যবহার, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাসহ ১১টি অভিযোগ এনে জেলার উজিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবালের বিরুদ্ধে দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। বর্তমানে অভিযোগগুলোর তদন্ত চলছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শনিবার দুপুরে প্রকাশ্য অভিযোগকারীর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। উপজেলা ডাকবাংলোর সামনে বসে উপজেলা চেয়ারম্যানের সহযোগী সদ্যআওয়ামীলীগের যোগদানকারীরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন হামলার শিকার আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ মঞ্জু খান। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার খবর মুহুর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পরলে আওয়ামী লীগের দুইগ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। স্বল্প সময়ের মধ্যে মঞ্জু খান ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থকরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে জড়ো হতে থাকলে পরিস্থিতি উত্যপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় স্থানীয় ডাকবাংলোতে দলীয় জরুরি সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস। তিনি বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষনিক থানার ওসিকে অবহিত করেন। পরবর্তীতে থানার ওসির নেতৃত্বে ডাকবাংলো চত্বরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখা হয়। এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে বড়ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন উপজেলাবাসী। আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ মঞ্জু খান অভিযোগ করেন, দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হাফিজুর রহমান ইকবালের সহযোগী ছাত্রদল থেকে সদ্য আওয়ামী লীগের যোগদান করা কামাল হোসেন, ফিরোজ ও ইকবাল বালীর নেতৃত্বে তাদের সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে ডাকবাংলোর সামনে বসে তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা খবির হোসেন ও শিপন মোল্লা এগিয়ে এসে তাকে রক্ষা করেন। উল্লেখ্য, উপজেলার হারতা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা (রহস্যজনকভাবে দীর্ঘদিন থেকে নিখোঁজ) হুমায়ুন খানের সহদর আওয়ামী লীগ নেতা মশাং গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মঞ্জু খানের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অতিসম্প্রতি দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ইকবালের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।