সার বিক্রির সাজা বাড়ছে নিবন্ধন ছাড়া
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
নিবন্ধন ছাড়া সার উৎপাদন, আমদানি, সংরক্ষণ, বিতরণ, পরিবহন ও বিক্রি করলে তা ‘অপরাধ হিসেবে গণ্য করে’ এর জন্য সাজা বাড়িয়ে আইনের খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘সার (ব্যবস্থাপনা) (সংশোধন) আইন ২০১৮’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ২০০৬ সালের আইন সংশোধন করে নতুন আইনটি করা হচ্ছে।
“নিবন্ধন ছাড়া সার উৎপাদন, আমদানি, সংরক্ষণ, বিতরণ, বিপণন, পরিবহন বা বিক্রি করলে ২ বছরের সশ্রম কারাদ- বা অনধিক ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দ- প্রস্তাব করা হয়েছে,” বলেন তিনি।
সার ব্যবস্থাপনা আইন-২০০৬ অনুযায়ী এই অপরাধের জন্য ’ছয় মাসের সশ্রম কারাদ- বা অনূর্ধ্ব ৩০ হাজার টাকা অর্থদ- বা উভয় দ-ের বিধান ছিল, যা এখন বাড়িয়ে দুই বছরের সশ্রম কারাদ- বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হচ্ছে।
এই অপরাধে কোনো রায়ে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে ৩০ দিনের মধ্যে আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করতে পারবেন। কর্তৃপক্ষ তা ১০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “মিথ্যা মামলা করলে বা কেউ মিথ্য মামলায় বাধ্য করালে উভয়ে একই সাজা পাবেন।”
তবে মিথ্যা মামলার জন্য প্রস্তাবিত আইনে ‘কী’ সাজার প্রস্তাব করা হয়েছে তা জানাননি শফিউল আলম।
প্রস্তাবিত আইনে জাতীয় সার প্রমিতকরণ কমিটির সদস্য সংখ্যা দুজন বাড়িয়ে ১৭ জন করা হয়েছে।
‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন’ অনুমোদন
দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টির চলমান প্রক্রিয়া আরও বেগবান করতে ‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮’ এর খসড়ায়ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রস্তাবিত ‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ’ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে কাজ করবে।
একজন নির্বাহী চেয়ারম্যান ও চারজন সদস্য সমন্বয়ে এই কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, চেয়ারম্যান ও সদস্যদের সরকার নিয়োগ দেবে, চাকরির মেয়াদ ও শর্তও সরকার নির্ধারণ করবে।
“এই কর্তৃপক্ষ জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতি ও কৌশল, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করাসহ ১০টি কাজ করবে। পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ৩০ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ে কমিটি থাকবে।”