মাজেদ মুকুলঃ
বিড়িশিল্প বন্ধের আগে বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরির দাবি জানিয়েছেন তামাক চাষি ও তামাকজাত পণ্যের ব্যবসায়ীরা। দেশে ২০২০ সালের মধ্যে বিড়িশিল্প এবং ২০৩৮ সালের মধ্যে সিগারেট শিল্পকে বন্ধ করার ঘোষণাকে বৈষম্যমূলক বলে উল্লেখ করেছেন তারা। আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে রংপুরের তামাক চাষি ও তামাকজাত পণ্যের ব্যবসায়ীদের আয়োজিত মহাসম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্প হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, সিগারেটের আগে বিড়িশিল্প বন্ধ না করে, বিড়ি-সিগারেট বন্ধে একই সময় নির্ধারণ ও বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গত ৩১ মার্চ প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের কাছে ‘তামাক ও সিগারেট উৎপাদন বন্ধকরণ’ শিরোনামে একটি চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে আগামী দুই বছরের মধ্যে বিড়িশিল্প বন্ধ ও সিগারেট শিল্প বন্ধ করতে ২২ বছর সময় দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। অর্থমন্ত্রীর এই প্রস্তাবের প্রতিবাদে আয়োজিত এ মহাসম্মেলনে তাদের দাবি উপস্থাপন এবং দাবি মেনে নেওয়া না হলে রাজধানীর রাজপথে তীব্র আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
সম্মেলনে বক্তারা বলেন, প্রতি হাজার বিড়িতে শুল্ক ১৪ টাকা নির্ধারণসহ বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরি ছাড়া তামাক চাষ কোনোভাবেই বন্ধ করা যাবে না। ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো এক হাজার ৯শ ২৪ কোটি টাকা কর ফাঁকির পাশাপাশি ৩৫ টাকা মূল্যের সিগারেট ২৭ টাকায় বিক্রি করছে। এ ব্যাপারে কোনো গুরুত্ব না দিয়ে বিড়ি শিল্পকে বন্ধের জন্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করছেন অর্থমন্ত্রী।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৪এপ্রিল২০১৮/ইকবাল