হুমায়ন কবীর ভূইয়াঃ
সড়ক ও জনপথ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও বিমান মন্ত্রী শাহ্জাহান খান গত ১২/০৩/২০১৮ ইং তারিখ সোমবার নেপালে এক ভয়াবহ বিমান দূর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে তিন জনকে দেখতে বিকাল ৩:৪৫ মিনিটে হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ৮ নং গেইটে সরাসরি উপস্থিত হন। সূত্র হতে জানা যায় যে, গত ১২/০৩/২০১৮ ইং তারিখে বেসরকারী ভাবে পরিচালিত ইউএস বাংলা নামে একটি ঊড়োজাহাজ নেপালের কাঠমন্ডু ত্রিভূবন বিমান বন্দরে নামার সময় হঠাৎ করে বিমানটির পিছন দিক থেকে আগুন ধরে বিকট শব্দে বিষ্ফোরিত হয়। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম অর্থাৎ এর আগে বাংলাদেশের কোন বিমান দূর্ঘটনার শিকার হয়নি। সূত্রে আরো জানা যায় যে, উক্ত বিমান দূর্ঘটনায় যারা বেচে আছেন তাদের কে বাংলাদেশে এনে উন্নত চিকিৎসা দিয়ে দ্রুততার সহিত সুস্থ্য করার লক্ষ্যে আজ শুক্রবার ৩ জন আহত পুরুষ/নারী বিকাল ৪:০০ ৮নং হেঙ্গার গেইট দিয়ে ৩টি এম্বুলেন্স এর মাধ্যমে বের হয় এবং তাদের কে দেখে সেতু ও বিমান মন্ত্রী খুবই মর্মাহত হয়। আহত ৩ জনের মধ্যে ১। কামরুন নাহার স্বর্ণা, ২। মেহেদী হাসান, ৩। আলমুন নাহার এ্যানি, এর মধ্যে এর আগে আহত আরো দু’জন আসে , মোট ৫ জন আহত ব্যক্তি বাংলাদেশে আসে। আহতদের এম্বুলেন্সে করে নেওয়ার পর সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও বিমান মন্ত্রী শাহ্জাহান কামাল খান উপস্থিত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া সাংবাদিকদের একটি ব্রিফ করেন। ব্রিফে তিনি বলেন, নেপালে বিমান দূর্ঘটনার খবরে আমরা সহ দেশের সমস্ত জনগন খুবই মর্মাহত। বিমান দুর্ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র আমাদের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সিংঙ্গাপুর থেকে সফর সংক্ষিপ্ত করে বাংলাদেশে চলে আসেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে দূর্ঘটনায় আহত নিহত ব্যক্তিদের সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দেন এবং যত দ্রুত সম্ভব নিহতদের দেশে আনা যায় তার ব্যবস্থা করতে বিমান মন্ত্রী ও সিভিল এভিয়েশন কে নির্দেশ দেওয়া হয় ।
যেহেতু নিহত ব্যক্তিদের কাউকে চেনার উপায় নাই তারা পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে। ফলে ডিএন এ পরীক্ষার মাধ্যমে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে যত দ্রুত সম্ভব নিহত ব্যক্তিদের তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা যায় তাহার ব্যবস্থার জন্য আমরা সিভিল এভিয়েশন এর কর্মকর্তা এবং আমি নিজে নেপালে গিয়ে তাদের সাথে কথা বলি। তারা আমাদের আশ্বাস প্রদান করেন যে, আমরা যত দ্রুত সম্ভব ডি এন এ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করতঃ যার যার দেশে প্রেরণ করব। বিমান মন্ত্রী শাহ্জাহান কামাল খানের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান যে, ত্রিভূবন কর্তৃপক্ষ বিমান দূর্ঘটনার জন্য পাইলটের গাফেলতি ও অদক্ষতা কে দায়ি করেন। জবাবে বিমান মন্ত্রী বলে যে, প্রশ্নই আসেনা। কারন পাইলট প্রিথুলা রশিদ নিজের জীবন বাজি রেখে অন্তত কিছু ব্যাক্তিকে বাঁচিয়ে গেছেন তাই ত্রিভুবন বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষের দাবি সম্পুর্ন মিথ্যা। কারন এর আগে এই বিমান বন্দরে প্রায় ৭০টি বিমান বিধস্ত হয়। উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি আরো বলেন যে, আইকা(আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ) বহুবার উক্ত ত্রিভূবন বিমানবন্দরটি সংস্কারের জন্য নির্দেশ দিলেও তারা কর্ণপাত করেনি সুতরাং আমাদের দেশের পাইলটের কোনো দোষ আছে বলে আমরা মনে করি না।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/১৭মার্চ২০১৮/ইকবাল