সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
জেলার বিশম্ভরপুর উপজেলার হাওরের প্রায় কোটি টাকার বরাদ্দের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে কলকাটি নাড়ছেন দক্ষিণ বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদ মিয়া। নামমাত্র পিআইসি কমিটিতে গ্রামের সরলমনা লোকদের রাখা হলেও চেয়ারম্যানই নৈপথ্যে কলকাটি নেড়ে বাঁধের নামে লুটপাটের চেষ্ঠা চলছে। ফলে হাওরপাড়ের কৃষকরা বাঁধ ঝুঁকিতে আগামী ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। পাউবো সুত্রে জানাযায়, পুটিয়ার হাওর উপ প্রকল্প (কাবিটা) আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডে’র ক্ষতিগ্রস্থ অবকাটামো মেরামত কাজের বরাদ্দ ২৩ লক্ষ ৫২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। উক্ত বাঁধের কাজে পুরানগাঁও গ্রামের আব্দুছ সামাদের ছেলে হাবিবুর রহমানকে সভাপতি ও একই গ্রামের ওয়াহেদ আলীর ছেলে আব্দুল বারেককে সদস্য সচিব করা হয়। যার পিআইসি নং -২৮। সরজমিনে বাঁধটি পরিদর্শনকালে দেখা যায়, ৭৬৩ কিঃমিঃ কাজ করার কথা থাকলেও অর্ধেক কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। ২৮ ফেব্রুয়ারী বাঁধের সর্বশেষ মেয়াদ থাকলেও কাজের ধীর গতিতে বুঝা যাচ্ছে এ নিয়ে তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। পিআইসি কমিটির লোকজনের সাথে বাঁধের অনিয়মের ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা পুরো বাঁধের কাজ সম্পর্কে ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদই ভাল জানেন বলে জানান। তারা আরো বলেন, সময় আছে কাজ করব। চলতি অর্থ বছরের অনুন্নয়ন রাজস্বখাতের (কাবিটা) আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডে’র ক্ষতিগ্রস্থ অবকাটামো মেরামত কাজের বরাদ্দ ২৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। ০৬ নং পিআইসি’র ৯১০ কিঃ মিঃ বাঁধের কাজের পিআইসি’র সভাপতি হলেন গন্ডামারা গ্রামের মৃত ইদ্রিছ আলীর ছেলে মোঃ গোলাম মৌলা, সদস্য সচিব একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে জাহেদ আলী। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গন্ডামারা গ্রামের সামনে বাঁধের কাজ করা হয়েছে। কিন্ত গন্ডামারা আফর বাঁধে ও আশেপাশে মাটি ফেলা হয়নি। বাঁধের কোথাও দুর্মোজ কিংবা দুর্বা ঘাস দেয়া হয়নি। এছাড়া বাদাঘাট দক্ষিণ ইউপি’র অন্যান্য বাঁধগুলো ঘুরে দেখা যায়, বাঁধের গোড়া থেকে মাটি কেটে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। উচ্চতা ও প্রস্তের নেই কোন মিল। ইচ্ছেমত চলছে বাঁধের কাজ। পিআইসি নং ০৫, আঙ্গুরালী হাওর উপ প্রকল্প (কাবিটা) আওতায় পানি উন্নয়ন বোর্ডে’র ক্ষতিগ্রস্থ অবকাটামো মেরামত কাজের বরাদ্দ ২০ লাখ ৯০ হাজার টাকা। পিআইসি’র সভাপতি জহিরুল হক। বরকুলা হাওর, ফকিরের কিত্তা হাওর সিরাজপুর বাগগাও মাদ্রাসা হতে ভাঙ্গা ভরাট উপ প্রকল্প কাবিটা’র আওতায় (কম্পার্টমেন্টাল বাঁধ), পিআইসি’র সভাপতি সত্রিশ গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে মোঃ রফিক মিয়া, সদস্য সচিব একই গ্রামের হারিছ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হক। একই হাওরের (কম্পার্টমেন্টাল বাঁধ), সভাপতি বাগগাঁও গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে জামাল হোসেন, সদস্য সচিব লোকমান হোসেন। বরকুলা হাওর, ফকিরের কিত্তা হাওর সিরাজপুর বাগগাও মাদ্রাসা হতে ভাঙ্গা ভরাট উপ প্রকল্প কাবিটা’র আওতায় (কম্পার্টমেন্টাল বাঁধ), চেইনিজ কিলোমিটার ৪.০০ থেকে ৮.০০ কিলোমিটার। পিআইসি’র সভাপতি হলেন সিরাজপুর গ্রামের চান মিয়ার ছেলে জহিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব বাগগাঁও গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে আব্দুর রউফ। বাদাঘাট দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এরশাদ মিয়া বলেন, আমি বাঁধ নির্মাণকাজে জড়িত নই। পিআইসি কমিটি কাজ বাস্তবায়ন করছে। সুষ্ঠুভাবে কাজ বাস্তবায়নের জন্য পিআইসিদের তাগদা দিচ্ছে।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/রুহুল আমিন