মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর ইকোনমিক জোন এলাকায় বালু আনতে গিয়ে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন পিকআপ ভ্যানচালক সুহেল মিয়া (১৮) ও তার ভাই জাহাঙ্গীর মিয়া (৩০)। গুরুতর আহত সুহেল মিয়াকে সিলেট এম এজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার ডান চোখ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আহত জাহাঙ্গীর মিয়া থানায় দেওয়া অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক ৮টা ১০ মিনিটে তারা পিকআপ ভ্যান নিয়ে বালু আনতে গেলে স্থানীয় একদল যুবক তাদের গাড়ি আটকায় এবং টাকা দাবি করে। প্রতিবাদ করলে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের মজলিসপুর গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে ইমরান মিয়া (২৫), দুদু মিয়ার ছেলে ছুরুক মিয়া (৩০), স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মানিক মিয়ার ছেলে সাজু মিয়া (২৮), নজীব উল্যার ছেলে মিজান মিয়া (২৫), শায়েখ মিয়া (২১), আছদ্দর মিয়ার ছেলে মদরিছ মিয়া (৪০), তার ছেলে রায়হান মিয়া (২২), দ্বীঘর ব্রাহ্মণ গ্রামের মিনির মিয়ার ছেলে জাভেদ মিয়া (৩২), পারকুল গ্রামের মশাহিদ মিয়ার ছেলে কামরান মিয়া (২০) ও ভবানীপুর গ্রামের আব্দুর নূরের ছেলে আল-আমিন মিয়া দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
হামলায় সুহেল মিয়ার ডান চোখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম হয়। এ সময় সন্ত্রাসীরা জাহাঙ্গীর মিয়ার কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ও একটি স্মার্টফোন ছিনিয়ে নেয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ও শ্রমিক নেতা সেলিম মিয়া জানান, “সুহেলের চোখের অবস্থা ভালো নয়। ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তার চোখ সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
তবে অভিযুক্ত ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা সাজু মিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। আমি বিভিন্ন কোম্পানিতে বালু সরবরাহ করি। সন্ধ্যায় আমার লেবারদের খোরাকি দেওয়ার জন্য ইমরান নামের একজন সেখানে গিয়েছিল। বালু নেওয়ার সময় গাড়িটি ইমরানের গায়ে লাগে। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যাই সমাধানের জন্য। উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি শুরু হয়। রাতের অন্ধকারে কে কাকে আঘাত করেছে তা দেখতে পাইনি।”
শেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শিপু কুমার দাস জানান, থানায় অভিযোগ নেওয়া হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তাধীন।