দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ):
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নে গ্রামের বিতরে বালু খেকুদের তান্ডবে ধ্বংস হচ্ছে
একের পর এক ফসলি জমি। ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। আতষ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের দ্বীনেরটুক ও সুনাইত্যা গ্রামের ফসলি জমি হতে বালু উত্তোলন,সুনাইত্যা হতে দ্বীনেরটুক গ্রামের প্রবেশ মুখে ব্রিজের নিচে মরা নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলন, দ্বীনেরটুক-ঘিলাছড়া গ্রামের মাঝামাঝি মরা নদীর তীরবর্তী সুনাইত্যা ও ঘিলাছড়া গ্রামের পাড় কেটে বালু উত্তোলন,নরসিংপুর -ঘিলাছড়া গ্রামের মাঝামাঝি ব্রিজের নিচ হতে ও সুনাইত্যা আরশ আলী’র বাড়ির পূর্ব দিকে ফসলি জমি হতে প্রভাবশালী বালু খেকুদের তান্ডবে অবাধে বালু উত্তোলনের ফলে ধ্বংস হচ্ছে এলাকা।
প্রটপরিবর্তনের পর দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্রের তান্ডবে এসব এলাকা হতে ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে সৃষ্টি হয়েছে শতাধিক পুকুরে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব এলাকা হতে বালু উত্তোলন করায় দিন দিন বিলুপ্ত হচ্ছে ফসলি জমি। সুনাইত্যা ও ঘিলাছড়া গ্রামের পাড় কেটে বালু উত্তোলন করায় ভাঙন দেখা দিয়েছে এই দুই গ্রামে। এতে হুমকিতে পড়েছে এলাকার স্থাপনা ও বসতভিটা। স্থানীয়রা একাধিকবার বাঁধা নিষেধ করেও বালু খেকুদের এসব তান্ডব বন্ধ করতে পারেনি।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, প্রভাবশালী একটি চক্র ভূমি অফিসের দু’একজনকে হাতে নিয়ে দ্বীনেরটুক, সুনাইত্যা ও ঘিলাছড়া গ্রামকে ধ্বংস করতে এসব এলাকা হতে বালু উত্তোলনের এই তান্ডব চালাচ্ছে। বালু উত্তোলনকারীরা স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না। দ্বীনের বেলায় তারা নিজের জায়গা হতে বালু উত্তোলন করলেও রাতের বেলায় জোরপূর্বক অন্যের জমি হতে বালু উত্তোলনে করে।
বালু উত্তোলনের কারনে এই গ্রামগুলোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ। এখনই যদি প্রশাসন এবিষয়ে পদক্ষেপ না নেয় তাহলে এলাকাটি অতিশীঘ্রই নষ্ট হয়ে যাবে।
এবিষয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরুপ রতন সিংহ জানান,আমি নতুন এসেছি তাই এখনো সব এলাকায় যাওয়া হয়নি। নরসিংপুরের বিষয়টি নজরে এসেছে। শীগ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।