মাসুম পারভেজ রংপুরঃ
অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে রংপুরের মাই টিভির ব্যুরোপ্রধান মাহমুদুল হাসানকে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তার নামে একটি পার্সেল আসে, যাতে দুটি কাফনের কাপড় ও দুটি প্রিন্ট করা হুমকির চিঠি ছিল।
চিঠিগুলোর একটিতে লেখা ছিল, ‘অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি তোর কারণে। এবার আমার খেলা শুরু। ঠিকমতো পছন্দের খাবার খেয়ে নে রে হারামখোর।’ আরেকটি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘ভাটা মালিকের কাজই মূলত সব সময় আগুন নিয়ে খেলা করা, তোর সময় শেষ, রংপুর মিঠাপুকুর বা সুবিধামতো জায়গা পেলেই খেল খতম। অপেক্ষার প্রহর গণনা শুরু।’
সাংবাদিক মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, কিছুদিন আগে তার প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত হন। সেই কারণে তিনি সন্দেহ করছেন, ওই চেয়ারম্যান বা পীরগঞ্জ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলোর সূত্রে কেউ জড়িত থাকতে পারে। বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে এবং আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি জিডি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কুরিয়ারে পাঠানো পার্সেলের প্রেরকের ঠিকানায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও রংপুরের গঙ্গাচড়ার নাম ব্যবহার করা হয়। এমনকি প্রেরকের নাম হিসেবে পীরগঞ্জের আরেক সাংবাদিক মিলনের নাম ও মোবাইল নম্বরও ব্যবহার করা হয়েছে, যা তদন্তে নতুন প্রশ্ন তুলছে।
রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব ও রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সরকার মাজহারুল মান্নান এই ঘটনাকে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিপন্থী ও ঘৃণ্য চক্রান্ত হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “এই দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।”
পীরগঞ্জ থানার ওসি এম এ ফারুক জানিয়েছেন, “বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে এবং তদন্ত চলছে।”