ইয়ানূর রহমান : যশোরে যৌতুকের দাবিতে মধ্যযুগীয় কায়দায় স্ত্রীকে হাত-পা
বেঁধে নির্যাতন চালিয়েছে পাষন্ড স্বামী। এসময় স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টাও
চালিয়েছে। পাষন্ড স্বামী আনোয়ার হোসেন যশোর সদর উপজেলার রসুলপুর গ্রামের
বাসিন্দা। স্ত্রী সেলিনা খাতুনের সারা শরীরে জখম নিয়ে যশোর জেনারেল
হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকাল ৬টায় আনোয়ারের নিজ
বাড়িতে। এ ঘটনায় স্বামী আনোয়ার হোসেন, তার মা সুফিয়া খাতুন, বাবা আব্দুস
সাত্তার ও বোন মিনা খাতুনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় কোতোয়ালি
থানায় অভিযোগ দিয়েছেন সেলিনা খাতুনের মা একই উপজেলার ললিতাদাহ গ্রামের
রোকেয়া খাতুন।
অভিযোগে রোকেয়া খাতুন উল্লেখ করেন, ১৬ বছর আগে আনোয়ারের সাথে সেলিনার
বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য নির্যাতন শুরু করে আনোয়ার। তার
সাথে যোগ দেয় আনোয়ারের পরিবার। ইতিমধ্যে তাদেরকে ধাপে ধাপে টাকা ও
মালামাল দেয় সেলিনার বাবার পরিবার। এর বাইরেও ঘরের আসবাবপত্র থেকে শুরু
করে বিভিন্ন জিনিসপত্র দেয়া হয় আনোয়ার ও তার পরিবারকে। সম্প্রতি ৭২ হাজার
টাকা নেয় আনোয়ার। এরপর আরও টাকা এনে দিতে বলে। টাকা না দেয়ায় মঙ্গলবার
সকালে আনোয়ার ও তার পরিবারের লোকজন সেলিনার দুই হাত ও পা বেঁধে মাটিতে
ফেলে কাঠ দিয়ে বেধড়ক মারপিট করে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে ফোলা জখম
করে।
হাতপাতালে আহত সেলিনার স্বজন ললিতাদাহ গ্রামের রবিউল ইসলাম বলেন,
সেলিনাকে মারপিট করে হত্যা চেষ্টা করে। এক পর্যায় উঠানে হাত-পা বাধা
অবস্থায় ফেলে রাখে। পরে সেলিনার শিশু মেয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে যেয়ে
সেলিনার মায়ের বাড়িতে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এরপর রবিউল, সেলিনার মা
রসুলপুর গ্রামে যেয়ে সেলিনাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি
করে। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।#
ইয়ানূর রহমান