রাকিবুল হাসান(রকি)শিবচর(মাদারীপুর)প্রতিনিধ:
মাদারীপুর জেলার শিবচরে বিবাদমান জমি দখলে নিতে এক সাংবাদিকের বসত বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার বন্দরখলা ইউনিয়নের রাজারচর এলাকার মফিতউল্লাহ হাওলাদারের কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় যৌথ অভিযানে শিবচর থানা পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার না করতে পারলেও ছয়টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে।
জানা যায়, কালবেলা পত্রিকার শিবচর প্রতিনিধি ও মফিতউল্লাহ হাওলাদারের কান্দি গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে আবু সালেহ মূসার পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে প্রতিবেশী দাদন বেপারীর ছেলে সাদ্দাম বেপারী গংদের সাথে। সেই বিরোধীদের জের ধরে আজ সকালে শিবচর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন-আহবায়ক ও বিএনপি নেত্রী নাদিরা চৌধুরীর অনুসারী রাশেদুজ্জামান রাশেদের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক লোকজন আবু সালেহ মূসার বসত বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এ সময় ঘরের সকল আসবাবপত্র বাহিরে ছুড়ে ফেলে দেয়, ঘরের চালা ও টিনের বেড়া অন্যত্র সরিয়ে ফেলে। এতে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবি।
এ ঘটনায় শিবচর উপজেলা প্রশাসন সেনাবাহিনী ও শিবচর থানা পুলিশের একটি যৌথ অভিযানি দল ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় ঘরবাড়ি ভাঙচুরে অংশ নেয়া কাউকেই গ্রেফতার না করতে পারলেও ছয়টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে শিবচর থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় সাংবাদিক আবু সালেহ মূসার ‘মা’ লতিফা ইয়াসমিন লতা বলেন, আমরা প্রায় এই বাড়িতে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে বসবাস করে আসছি। আজ সকালে বিএনপি নেতা রাশেদুজ্জামান রাশেদের নেতৃত্বে আমার বসত ঘরে ভাঙচুর করেছে এতে আমার প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আবু সালেহ মূসার বাবা আমজাদ হোসেন বলেন, আমাদের বাড়িঘর সবকিছু ভাঙচুর করে ফেলেছে। সেনাবাহিনী পুলিশ এসে আমাদেরকে রক্ষা করেছে তা না হলে ওরা আমাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলত। আমরা এখনো চরম শঙ্কার মধ্যে রয়েছি যেকোনো মুহূর্তেই ওরা আবারো আমাদের উপর আক্রমণ করতে পারে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাদ্দাম বেপারী বলেন, ওরা দীর্ঘদিন আমাদের জমি জোর করে দখলে রেখেছিল, আমার কাছে দলিল আছে তাই আজকে লোকজন নিয়ে ওদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছি এবং জমিতে দখলে গিয়েছি। আমরা অন্যের জমি জোর করে দখল করিনি বরং দীর্ঘদিন ধরে ওরাই আমাদের জমি দখল করে রেখেছিল।
এ বিষয়ে বিএনপির নেত্রী নাদিরা চৌধুরী বলেন, রাশেদুজ্জামান রাশেদ বিএনপি করে এটা আমি জানি। তবে সে আমার অনুসারী নয়। আর বড় কথা হচ্ছে অপরাধীর পরিচয় সে অপরাধি। কার অনুসারী এটা বিবেচ্য বিষয় নয়।
এ বিষয়ে শিবচর থানার ওসি মোহাম্মদ রতন শেখ বলেন, সংবাদ পেয়ে দ্রুতই সেনাবাহিনী সহ উপজেলা প্রশাসন সমন্বয়ে আমরা একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছাই এবং ভাঙচুর প্রতিরোধ করি। এবং ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি মোটরসাইকেল জব্দ করি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় অভিযোগ করেছে। বর্তমান এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।