শেরপুর থেকে মোঃ সাইদুর রহমান আপন।
২৬ জানুয়ারি রবিবার শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার সিংগাবরুনা ইউনিয়নের মেঘাদল গ্রামে মাদক ও চোরাকারবারীর অভিযোগ এনে স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ বিএনপি নেতাদের জড়িয়ে মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলা করায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেঘাদল এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।
লিখিত অভিযোগে জানান, বিগত ২২ জানুয়ারি বুধবার গভীর রাতে শ্রীবরদী উপজেলা মেঘাদল এলাকায় ৪ জন সাংবাদিক নামধারী ব্যাক্তি উক্ত এলাকায় একটি গাড়ি নিয়ে ঘুরাঘুরি করছে পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি শেরপুর মডেল কলেজের শিক্ষক মাসুদ হাসান বাদল, সাংবাদিক পরিচয়ে রফিক মজিদ, সাংবাদিক সম্রাট ও রিপন নামে ৪ জন ওই এলাকায় স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ীকে খুজতে থাকে। পরে জানা যায়, কাউকে না পেয়ে তারা গাড়ি নিয়ে শ্রীবরদী সড়কের দিকে চলে যায়।
ঘটনার দিন স্থানীয় ব্যবসায়ী মাসুদ ভাই ময়মনসিংহে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে নিজ এলাকা মেঘাদল আসলে লোকমুখে বিষয়টি জানতে পারে। পরিতাপের বিষয় আমরা একদিন পর জানতে পারি ২২ তারিখ রাতে তাদের উপর হামলার অভিযোগ এনে ২৩ তারিখ শ্রীবরদী থানায় মাসুদ ভাইকে আসামি করে কমপক্ষে ১৫ জন বিএনপির পরিক্ষিত নেতা ও সাধারণ মানুষকে জড়িয়ে মাদক, চোরাচালানসহ গাড়ি ভাংচুরের মিথ্যা মামলা করেন।
বিষয়টি শুনে আমরা এলাকাবাসী হতবাক হয়ে যাই। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি বেশ কিছুদিন যাবৎ এই ৩/৪ জন সাংবাদিক প্রেসক্লাবের নেতা পরিচয়ে ওই এলাকায় ব্যবসায়ীদের অবৈধ বালু ব্যবসায়ী বানিয়ে চাঁদা দাবি করে আসছিল। এদের মধ্যে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি অনৈতিক কাজকর্মের অভিযোগে দেশটিভি সাংবাদিক মজিদ কে দেশটিভি থেকে বাদ দিয়েছেন একই অভিযোগে আারেক সাংবাদিক পরিচয়দানকারী রিপনকে আলোকিত বাংলাদেশ থেকে তাকেও বাদ দিয়েছেন। এরা সাংবাদিক নামকে পুঁজি করে জেলার বহু মানুষকে দির্ঘদিন যাবৎ হয়রানি করে আসছে। এরকম সাংবাদিক নামধারী ব্যাক্তির মিথ্যা মামলায় এলাকার নিরীহ লোকজনকে ফাঁসিয়ে অর্থ আত্মসাৎ এর পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়া ঘটনা মামলার এজাহারে ঘটনার সময় রাত সাড়ে ১১ টা উল্লেখ করলেও তারা ওইদিন রাত ২. টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এত রাতে পুলিশ, বিজিবিকে না জানিয়ে সীমান্ত এলাকায় অবাধে ঘোরাফেরা করে আসছেন।এছাড়া ব্যবসায়ী মাসুদের মোবাইল ফোনে বাদল সাংবাদিক পরিচয়ে হুমকি দিয়েছেন।