পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী একটি পরিবার। শনিবার দুপুরে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাবেক মন্ত্রী রুহুল আমিন হাওলাদার। তার দাবী এরা প্রতারক।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী মো: ওসমান গনি শেখ অভিযোগ করেন, রুহুল আমিন হাওলাদার ক্ষমতার দাপটে মামলা হামলা ও প্রশাসনের মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাদের রেকর্ডীয় সাড়ে ২৭ শতাংশ জমি দখলে নেয়। জমি বিক্রি করতে না চাইলে নানা ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে একটি ভূয়া চুক্তিপত্র সৃস্টি করে দলিল সম্পাদনে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন এলাকায় মিথ্যা মামলা দিয়ে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদেন জেল হাজতে পাঠায়। জমির দলিল নিতে প্রান নাশের হুমকি দেয়া হয়। জীবনের ভয় আমরা বাড়িঘর ছেড়ে দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়িয়েছি।
সংবাদ সম্মেলন৷ তিনি আরো বলেন, জে, এল ৩৪নং লতাচাপলী মৌজার এস,এ ১২৯৩ নং খতিয়ানের ৫১৮৫ বাটা ৫৪৭৬ নং দাগের অংশ হইতে সাড়ে ২৭ শতাংশ জমির সাব-কবলা খরিদ মূলে তিনি ওসমান গনি ও তার ছোট ভাই মোঃ ছোবাহান শেখ, দোজাহান শেখ ও নুর ইসলাম শেখ মালিক। একই দাগ খতিয়ানে আমাদের আরেক ভাই মোঃ শাহ আলম শেখ এর ০৪ (চার) শতাংশ জমি রহিয়াছে। জাতীয় পার্টির সাবেক মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার শাহ আলম শেখ এর অংশের ০৪ (চার) শতাংশ জমি ক্রয় করেন। তখন আমাদের জমি আমাদের দখলেই ছিল। কিন্তু আমাদের তফসিল বর্ণিত জমির উপর তাহার কু-নজর পরে।
পরবর্তীতে তিনি আমাদের জমিও ক্রয় করার প্রস্তাব দিলে আমরা জমি বিক্রয় করিতে অসম্মতি জানাই। যে কারণে এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার আওয়ামী স্বৈরশাসনামলে সাংসদ থাকাকালীন ক্ষমতার দাপট দেখাইয়া আমি ওসমান গনিসহ আমার অপর তিন ভাইয়ের অংশের সাড়ে ২৩ শতাংশ জমি অবৈধভাবে জবর দখলে নিয়া যায়। আমরা শতবার চেষ্টা করিয়াও আমাদের জমি উদ্ধার করিতে পারি নাই। আমরা আমাদের জমি উদ্ধারের চেষ্টা করিলে বিবাদী তাহার ক্ষমতার দাপট দেখাইয়া আমাদেরকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাসিয়ে হয়রানী করিয়াছে। এমনকি আমাকে ও আমাদের পরিবারকে চিরতরে শেষ করিয়া ফালাইবার ষড়যন্ত্র করিয়া একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়া জেল হাজত খাটাইয়াছেন। অশেষে ছাত্র জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর তিনি লাপাত্তা হয়ে যায়।
ভূমি খেকো এই প্রভাবশালী ব্যক্তির অবৈধ দখল থাকা আমাদের জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।