কমলনগর দাতা সংস্থা জাপান প্লাটফর্ম এর অর্থায়নে এবং গুড নেইবারস বাংলাদেশের উদ্যোগে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের মাঝে ত্রাণ সহায়তা ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দিনব্যাপী উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের আজাদনগর উত্তর চর আবদুল্যাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা সৈয়দ আমজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গুড নেইবারস বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর এম মাঈন উদ্দিন মাইনুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গুড নেইবারস জাপান এর প্রতিনিধি ইউকি ইউশ মোরা, কমলনগরের পাটওয়ারীর হাট মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা আবুল খায়ের প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: মো: মাসুদ জাহান মাহমুদ, গুড নেইবারস বাংলাদেশ এর অর্থ ব্যবস্থাপক মো. আফসার উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. পারভেজ আহমেদ ও রিফাত আল মাহমুদ প্রমুখ।
বক্তারা জানায়, গুড নেইবারস বাংলাদেশ ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর অনুমোদনপ্রাপ্ত একটি আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা হিসেবে তাদের কার্যক্রম শুরু করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি বঞ্চিত শিশু, তাদের মা এবং পরিবারের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, সুরক্ষা, কমিউনিটি উন্নয়ন, স্যানিটেশন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বর্তমানে গুড নেইবারস বাংলাদেশ দেশের ১৩টি জেলায় ২৯ হাজার শিশু ও তাদের মা এবং দরিদ্র পরিবারকে সহায়তা প্রদান করছে।
সংস্থাটি সবসময় দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং এ ধরনের সহায়তামূলক কার্যক্রম মৌলভীবাজার, কক্সবাজার ও নোয়াখালী জেলায়ও চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটি।
এনজিও সংস্থাটি জানায়, লক্ষ্মীপুর জেলার কমলনগর এবং রামগতি উপজেলা সম্প্রতি বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই দুই উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত ১০ হাজার লোকজনকে জাপান প্ল্যাটফর্ম এর অর্থায়নে ত্রাণ সহায়তার আওতায় আনা হয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর থেকে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করা হয়৷ আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ত্রাণ কার্যক্রম চলবে। কমলনগর উপজেলার সাড়ে ৪ হাজার এবং রামগতি উপজেলার সাড়ে ৫ হাজার বাসিন্দা ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে।
ত্রাণ সামগ্রীর মধ্যে প্রতি পরিবারের জন্য ছিল ২০ কেজি চাল, এক কেজি চিড়া, দুই কেজি ময়দা, এক কেজি সুজি, এক কেজি চিনি, দুই কেজি ডাল, এক কেজি লবন, এক লিটার তেল, দুটি সাবান, দুটি ডিটারজেন সাবান, ২৫টি ওরস্যালাইন, দুই প্যাকেট স্যানিটারি ন্যাপকিন এবং ১০টি এইচ ট্যাবলেট রয়েছে। ত্রাণ বিতরণের পাশাপশি ১২ টি হেলথ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রায় চার হাজার লোকজনে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ বিতরণ করা হয়।