আধুনিক ডিজাইনের নজরকাড়া দৃষ্টিতে নির্মিত এই শিক্ষাকেন্দ্রটি আনুষ্ঠানিকভাবে শনিবার (৯ নভেম্বর) শুভ উদ্বোধন করা হয়। গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়কের পাশে নশরৎপুর নামক জায়গায় এটি অবস্থিত ।
এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেব বক্তব্য রাখেন, সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও পাওয়ার অ্যান্ড পাটিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
জিইউকে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী প্রধান এম আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ জহুরুল কাইয়ুমের সঞ্চালনা আরও বক্তব্য দেন- মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাধ্যমিক-২) রবিউল ইসলাম, জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আসাদুজ্জামান সুবহানী, শিক্ষাবিদ সাহিত্যিক অধ্যাপক মাজহারউল মান্নানসহ আরও অনেকে।
এসময় জিইউকে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ জহুরুল কাইয়ুম জানান, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্লে থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি নেওয়া হচ্ছে। পড়ালেখার পাশাপাশি আমরা শিক্ষার্থীদের ভালো নাগরিক হিসেবে তৈরি করতে চাই। এজন্য শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মনো পরামর্শক নিয়োগ দিয়েছি।
প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এম আবদুস সালাম তার বক্তব্যে বলেন, যুগোপযোগী ও বিজ্ঞানসম্মত শিক্ষা প্রসারে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে যাচ্ছে আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটি। গণ উন্নয়ন কেন্দ্র তিন যুগের বেশি সময় ধরে উপানুষ্ঠানিক, প্রাক, প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কারিগরি শিক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা থেকে একটি বিশ্বমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধা জেলা শহর সংলগ্ন গাইবান্ধা-সাঘাটা রোডে নশরৎপুর গ্রামস্থ আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর দৃষ্টিনন্দন জিইউকে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজটি স্থাপতি করা হয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে নিরাপদ ও মানসম্মত আবাসন ব্যবস্থা। অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ অডিটোরিয়াম ও পৃথক সাংস্কৃতিক চর্চা কক্ষ। ভবনের নীচ তলায় থাকছে সুবিশাল কাফেটেরিয়া। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জন্যই এটি তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে অত্যাধুনিক জিম ও সুইমিংপুল। স্কুল ভবনের সাথেই দূরের দর্শনার্থী অভিভাবকদের জন্য নির্মিত হয়েছে আবাসিক সুবিধা। অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে বেশ কয়েকটি পরিবহণ সুবিধা। পাঠদানের পাশাপাশি কালচারাল ক্লাব, বিতর্ক ক্লাব, ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, বিজ্ঞান, লোগো ও রোবোটিকস ক্লাবের মাধ্যমে সহপাঠক্রমিক কার্যক্রম যুক্ত করা হয়েছে।
এই প্রতিষ্ঠানের অন্যতম বৈশিষ্ট্যের মধ্যে প্লে থেকে কেজি পর্যন্ত কেমব্রিজ ইন্টারন্যাশনাল কারিকুলামে পাঠদান করা হবে। শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে তিনটি ভাষায় দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। তবে, প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কারিকুলামে পাঠদান করা হবে।