বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি বলেন আমরা লক্ষ্য করছি যে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১৫ বছর ৭ মাস এবং ওয়ান ইলেভেনের দুই বছর।
এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করে আসছেন।
বিভিন্ন দল বিশেষ করে বিএনপি তাদের ৯২ লক্ষ কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা ৬২ হাজার কর্মী কারাগারে। বিএনপি’র উচ্চ মাপের বড় বড় নেতাদেরকে গুম, খুন, হত্যা,এমনকি জুতার ফিতা দিয়া থানার ভিতরে আত্মহত্যা করেছেন এ সমস্ত নাটক আওয়ামী লীগ সরকার করেছেন।
যার ফলে ৫ ই আগস্ট আন্দোলনের সুফল বয়ে আনেন।
আর দ্বিতীয়বার বাংলাদেশ স্বাধীন হলো।
আপনার সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য ডঃ মোঃ ইউনুস সাহেবকে ক্ষমতায় বসিয়াছে। কিন্তু তিনি কিছু ডি সি, কিছু এস পি, দুই এক জন সচিব, কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি, কিছু ব্যাংকের চেয়ারম্যান সরিয়েছে।
এরপর কি হচ্ছে তিনি এনজিও দের নিয়ে ক্ষমতা গ্রহণ করেন।
বর্তমান তিনি এনজিও সরকার তৈরি করেছেন।
তাই বলবো এখনো সময় আছে আপনি এনজিও সরকার বাদ দিয়ে বিভিন্ন দলের মধ্য থেকে বিচক্ষণ ব্যক্তিদেরকে নিয়ে সমন্বয়ে সরকার গঠন করুন।
এবং বাংলাদেশের প্রতিটি থানা জেলা উপজেলা যোগাযোগ মন্ত্রণালয়, পূর্ত মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়,যুব মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, শেষ মন্ত্রণালয় পাট মন্ত্রণালয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ঘাপটি মেরে যে সমস্ত আওয়ামী লীগের পিতাত্মারা লুকিয়ে আছেন তাদেরকে বাধ্যতামূলক অবসর দিন।
এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন একটি দেশ গড়ুন।
সময় ফুরিয়ে এসেছে সংস্কার না করে মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ডাইভেট করে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করবেন না। মাননীয় প্রধান সমন্বয়কারী আপনি অতি দ্রুত গতিতে নির্বাচন কমিশন ঠিক করে নির্বাচন দিয়ে সম্মান নিয়ে অবসর নিন, জাতি আপনাকে চিরদিন হৃদয়ের মনি কোঠারে গেথে রাখবে । ব্রিটিশ সরকার এদেশে ক্ষমতা কিভাবে গ্রহণ করেছেন ছোট ছোট এনজিও ভারতবর্ষে তৈরি করে তাদের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহণ করেছিলেন।
এবং সেই ক্ষমতা ১৯৫ বছর দীর্ঘায়িত ছিল।
আপনি যদি তাই মনে করেন তাহলে ভুল করছেন।
বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটি তাই মনে করেন।
বর্তমান যিনি দেশ চালাচ্ছে এনজিও সরকার বলে বিবেচিত।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আপনি জাতিসংঘে ভাষণ দিয়েছেন এবং জাতির ক্লান্তিকালে ক্ষমতা গ্রহণ করে আপনি ভাষণ দিয়েছেন।
ঐ ভাষণে আপনার মুখ থেকে একটি কথাই শোনা যায়, যে ছাত্রদের ফসল এই সরকার।
এটা ঠিক নয়
আপনার বুঝতে হবে শতকরা কতজন ছাত্র রাস্তায় ছিল।
তাদের দাবি তৎকালীন সরকার মেনে নিয়েছিল,এবং তারা ঘরে ঢুকে গিয়েছিল। এরপরে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইথারের মাধ্যমে ঘোষণা দিয়েছেন দূর দেশের মাটি থেকে।
তার দেওয়া জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ আমার দেশের গণতন্ত্রের পিপাসু মেহনতী জনগন, শ্রমিক কামার কুমার, তাঁতি, জেলে মজুর, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিএনপি’র কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।
আপনাদের পাশে আমার দলের নেতারা যুবদল, ছাত্রদল, শ্রমিক দল, তাঁতি দল, মুক্তিযোদ্ধ দল, থাকবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করুন
তখন আন্দোলন বেগবানহয়। ঠিক তখনই সাধারণ ছাত্ররা সেই আন্দোলনে যোগ দেয়। সাথে এনজিও শিক্ষক শিল্পী বৃন্দরাও।
পনেরশোর ঊর্ধ্বে শহীদ হন হাজারের উপরে বিএনপি’র কর্মী নিহত হন।
ছাত্র যুবক ভাইয়েরা পঙ্গুহান।
কারো চক্ষু হারান, কেউ পাও হারান, কেউ হাত হারান, তারি ফসল আপনি। যদি মনে করেন
আধিপত্যবাদ, সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদ, সম্প্রসারণ বাদ, তারা যদি আপনাকে খোয়াবনামা দেখিয়ে বসিয়ে রাখেন,তাহলে ভুল করছেন।
আপনার ভাবা উচিত জাতি আপনাকে শ্রদ্ধার সাথে দেখেন, তাই অনতিবিলম্বে নির্বাচন দিয়ে, নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে আপনি অবসর নিন।
বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটি তাই আশা করেন।