June 30, 2024, 12:49 pm

সংবাদ শিরোনাম
চিলমারীতে আবারও শিক্ষক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রী যৌন হয়রানির অভিযোগ দুর্নীতিরোধে দুর্নীতিবাজদের তালিকা প্রণয়ন এবং কমপক্ষে যাবজ্জীবন শাস্তির দাবিতে বেনজীর-মতিউর-এর কুশপুত্তুলিকা দাহ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর মোবাইল যুগে প্রবেশের জন্য বাণিজ্যিক ফাইভজি অ্যাডভান্সের ওপর হুয়াওয়ের গুরুত্বারোপ পটুয়াখালীতে ২৬ হাজার ৮ শত ৮০ পিচ ক্যান নিষিদ্ধ বিয়ার সহ আটক-৩ রংপুর বিভাগের সমবায় কর্মকর্তা ও সমবায়ী কর্তাদের নৈরাজ্যে কোটি কোটি টাকা লোপাট-দিশেহারা সাধারণ সমবায়ী গোয়াইনঘাটে হাফেজ্জী হুজুর রহঃ সেবা ফাউন্ডেশনের ঢেউটিন বিতরণ কুড়িগ্রামের ভুরুমারীতে ভিনদেশী রঙের দুই সন্তানকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বাবা মা নরসিংদীর চাঞ্চল্যকর কান্তা হত্যার পলাতক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী মামুনকে গ্রেফতার করলো রৌমারী থানা পুলিশ পটুয়াখালীতে ১ হাজার ২’শত কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ৬ হাজার নারিকেল চারা বিতরন সান্তাহার পৌরসভার ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

আজ (১৩ জুলাই) ব্যাভিচারে লিপ্ত নর নারীর সমান শাস্তি এবং লায়লা কে গ্রেফতারের দাবিতে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করে, নারী ও পুরুষদের আইনগত সম অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করা ‘এইড ফর মেন ফাউন্ডেশন’ নামের একটি সংগঠন।

উক্ত মানব বন্ধনে উপস্থিত থেকে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ডা. আব্দুর রাজ্জাক খান। আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম, কোষাদক্ষ আল আমিন, ঢাকা জেলা কমিটির ইয়াসির আরাফাত, সোনারগাও উপজেলা কমিটির সভাপতি শাহ জালাল, সাধারন সম্পাদক মহিউদ্দিন ও প্রমুখ।

উক্ত মানব বন্ধনে বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা দেখতে পাচ্ছি, প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে লায়লা বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষনের মামলা করেছে। অথচ, আমরা দেখছি, প্রিন্স মামুন ও লায়লা উভয়েই সজ্ঞানে দীর্ঘদিন ধরে একে অপরের সাথে থাকছে। তারা বিবাহিত কি অবিবাহিত এ বিষয়ে তারা কখনো স্পষ্ট করেনি! লায়লার নিজ বাসায় নিয়ে মামুন কে রেখেছে এবং উল্লেখযোগ্য যে লায়লা বিবাহিত ও একাধিক সন্তান রয়েছে । সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা বিভিন্ন সময়ে ভাইরাল কন্টেন্ট দিয়েছে এবং তা থেকে স্পষ্ট তারা (লায়লা ও মামুন) সেচ্ছায় নিজ ইচ্ছায় দীর্ঘদিন অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত অথচ আশ্চর্যজনক ভাবে আইনের দৃষ্টিতে শুধুমাত্র প্রিন্স মামুন অপরাধী কিন্তু লায়লা নয়! যা স্পস্টতো লিঙ্গ বৈষম্যপূর্ন আইনের কারনে। যেহেতু উভয়ে সামাজিক ভাবে অপরাধী তাই উভয়কেই শাস্তির আওতায় আনা উচিত যেন পরবর্তি প্রজন্ম এই সব অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে বিরত হয়। বর্তমান আইন যেহেতু লিঙ্গ নিরপেক্ষ নয় তাই দ্রুত এই বৈষম্যপূর্ন আইনকে পরিবর্তন/ সংশোধন করে যুগোপযোগি করে তোলা আবশ্যক।

সংগঠনের সভাপতি ডঃ আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, নারী মানেই ভিকটিম এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নারীরাও অপরাধ করতে পারে। বর্তমান সমাজে নারীকে নিরপরাধী বলে বিবেচনা করা হয়! ফলে সকল অপকর্মের দায় পুরুষের উপর চাপিয়ে দেওয়ায় পারিবারিক সম্প্রীতি আজ ধ্বংসের পথে। লায়লা ও প্রিন্স মামুন একি অপরাধ করার পরেও আইনের দৃষ্টিতে মামুন অপরাধী ও লায়লা ভিক্টিম এ কেমন যুক্তি?

সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নাদিম বলেন, লায়লা কোন কচি খুকি নয়। তার পূর্বেরও দুটি বিয়ের কথা শোনা যায় এবং তার সন্তানও আছে । মামুনের চাইতে লায়লার বয়স বেশি তাই লায়লাকে ভুল বুঝিয়ে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে এটা পাগলেও বিশ্বাস করে না। যদি অপরাধ হয়ে থাকে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে ব্যভিচারে নর-নারী দুইজনের শাস্তির বিধান করতে হবে। বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে নারীকে ব্যভিচারের জন্য শাস্তি দেওয়া যায় না কিন্তু পুরুষের শাস্তির বিধান আছে যা একটি বৈষম্যপূর্ণ আইন।

আমরা অতি দ্রুত এই আইন পরিবর্তন এবং লায়লাকেও একই আইনে গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।

ব্যভিচার আইনটির সম্পর্কে একটু জেনে আসি। ১৮৬০ সালে ব্রিটিশদের করা ব্যভিচারের আইন, বিধির ৪৯৭ ধারা বর্তমান প্রেক্ষাপটে আসলে কতটুকু যৌক্তিক! সাধারণত ব্যভিচার বলতে আমরা যা বুঝি, যে কোন ব্যাক্তি অপর কোন ব্যাক্তির বিবাহিতা স্ত্রীকে জেনে শুনে ঐ ব্যাক্তির স্ত্রীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করে যা নারী ধর্ষণের শামিল নয়, সে ব্যাক্তি ব্যাভিচারের অপরাধে দোষী হবে। দন্ডবিধির ৪৯৭ ধারায় ব্যভিচার সম্পর্কে বলা হয়েছে- Sec.-497 Adultery: Whoever has sexual intercourse with a person who is and whom he knows or has reason to believe to be the wife of another man, without the consent or connivance of that man, such sexual intercourse not amounting to the offence of rape, is guilty of the offence of adultery, and shall be punished with imprisonment of either description for a term which may extend to five years, or with fine, or with both. In such case the wife shall not be punishable as an abettor. অর্থাৎ যে কোন ব্যাক্তি অন্য ব্যাক্তির স্ত্রী অথবা যাকে সে অপর কোন লোকের স্ত্রী বলে জানে বা তার অনুরুপ বিশ্বাস করার কারন রয়েছে এমন কোন ব্যক্তির সঙ্গে উক্ত অপর লোকের সম্মতি বা সমর্থন ব্যাতিরেকে এরুপ যৌন সম্পর্ক করে যা নারী ধর্ষণ এর শামিল নহে, সে ব্যাক্তি ব্যভিচার এর অপরাধে দোষী এবং যে কোন বিবরণে কারাদন্ডে যার মেয়াদ পাঁচ বৎসর পর্যন্ত হতে পারে বা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে। অনুরুপ ক্ষেত্রে স্ত্রী লোকটি দুষ্কর্মে সহায়তাকারিণী হিসেবে দন্ডিত হবে না। সাধারণত ব্যাভিচার সংক্রান্ত অপরাধের ক্ষেত্রে উভয় পক্ষেরই সম্মতি থাকে। অথচ স্ত্রী লোকটি দুষ্কর্মের সহায়তাকারিণী হিসেবে দন্ডিত হবে না এ কেমন কথা? কেউ কি একবার ভেবে দেখেছেন- যে নারীটি নিজের স্বামীকে/ পরিবারকে ঠকিয়ে এমন কি ছোট অবুঝ সন্তানদেরকে ফেলে রেখে সজ্ঞানে নিজ ইচ্ছায় অন্য পুরুষের সঙ্গে ব্যাভিচারে লিপ্ত হয় সে তো আর শিশু নয় যে, একখানা চকলেট ধরিয়ে ফুসলিয়ে আদর করে কোলে নিয়ে কেউ চলে গেল। তাহলে কেন একক ভাবে পুরুষের শাস্তি হবে? মহিলাটির শাস্তি নয় কেন? ব্যভিচারের ৪৯৭ ধারায় নারীর শাস্তির ব্যবস্থা না রাখার কারণে নারীকে পরকীয়ায় বৈধতা দেয়া হয়েছে।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর