ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্টরা জানান, উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তির দ্বিতীয় ধাপের আবেদন সোমবার থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এ ধাপের ফলাফল ১২ জানুয়ারি রাত ৮টায় প্রকাশ করা হবে। নিশ্চয়ন চলবে ১৩ থেকে ১৪ জানুয়ারি। তৃতীয় ধাপের এ আবেদন ১৬ জানুয়ারি ও ফলাফল প্রকাশ ১৮ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ধাপের নিশ্চয়ন ১৯ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। যারা ভর্তির জন্য নির্বাচিত হবে তাদের ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে ভর্তি হতে হবে। ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু হবে।
এর আগে, গত ৩১ ডিসেম্বর একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়। এ ধাপে মোট ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৬৪৬ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছিলেন। তারা বিভিন্ন কলেজের ৭০ লাখ ২০ হাজারের বেশি আসন ‘চয়েস’ দিয়েছেন। প্রথম ধাপে কলেজ ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন ১২ লাখ ৭৮ হাজার ১১৪ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ১৭ জনের আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়নি। সে হিসেবে আবেদন করেও কলেজ পায়নি ৭৯ হাজার ৫৩২ জন। চলতি বছর মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৫০২ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ৪ লাখ ৪ হাজার ৮৫৬ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেননি। বিভিন্ন কলেজে চয়েস দেওয়ার মধ্য দিয়ে এ বছর মোট আবেদনের সংখ্যা ছিল ৭৪ লাখ ২০ হাজার ৮৪৮টি।
বোর্ড সংশ্লিষ্টরা জানান, অনেক শিক্ষার্থী মেডিক্যাল অ্যাসিস্টেন্স, নার্সিং ও মিড ওয়াইফারি, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, কৃষি ও টেকনিশিয়ান বিভাগে পড়াশোনা করেন। আবার প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। তবে পরবর্তী দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের আবেদন নিয়ে মোট ১৪-১৫ লাখ শিক্ষার্থী কলেজ ভর্তির আবেদন করতে পারে।
চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় ২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮১ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এর মধ্যে আবেদন করেও কলেজ ভর্তি নিশ্চিত করতে পারেনি ২৩ হাজার ২৩১ জন। শুধু ঢাকা বোর্ডেই জিপিএ-৫ ধারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৫ হাজার ৯৩ জন। এর মধ্যে অনলাইন ভর্তির জন্য আবেদন করেছিলেন ৫৭ হাজার ২৮৬ জন। আবেদন করেও কলেজে ভর্তি নিশ্চিত করতে পারেনি ৬ হাজার ৬৬২ জন জিপিএ-৫ ধারী শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, এ বছর ঢাকা বোর্ড থেকে মোট ৪ লাখ ৭ হাজার ৬৫৪ জন কলেজ ভর্তির আবেদন করেছিলেন। যার মধ্যে কলেজ ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন ৩ লাখ ৩২ হাজার ৩৪২ জন।