খায়রুল আলম সুমন,সিলেট প্রতিনিধিঃ-
আমাদের মজুরি ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া
প্রধানমন্ত্রী ভারত সফর থেকে এসে আমাদের সাথে বসবেন বলে জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে
আমাদের দাবিদাওয়া জানানো হবে। তাই তার আশ্বাসে আমরা আপাতত ধর্মঘট প্রত্যাহার করছি।
রোববার থেকে সব শ্রমিকরা কাজে যোগ দেবে। এদিকে, নেতাদের এই সিদ্ধান্তের পর শ্রম দপ্তরের সামনেই
বিক্ষোভ শুরু করেন সাধারণ শ্রমিকরা। তারা ৩০০ টাকা মজুরির দাবিতে ¯েøাগান দিতে থাকেন। দাবি
আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ারও কথা জানান তারা। এসময় সমিতির নেতাদের প্রতিও ক্ষোভ
জানান সাধারণ শ্রমিকরা। অঞ্জন গোয়ালা নামের এক শ্রমিক বলেন, আমরা ৩০০ টাকা মজুরির দাবি
জানিয়েছি। এখন মাত্র ২৫ টাকা মজুরি বৃদ্ধি করলে কিভাবে ধর্মঘট প্রত্যাহার করবো। এই বাজারে ১৪৫
টাকায় কিভাবে চলবো। তিনি বলেন, নেতারা আপোষ করতে পারেন। কিন্তু আমরা আপোস করবো না।
ধর্মঘট চালিয়ে যাবো। চা শ্রমিকদের সাথে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার-৪ আসনের
সংসদ সদস্য মো. আব্দুস শহীদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের প্রতি খুবই আন্তরিক। তারই
নির্দেশে আমি আজকে এখানে এসেছি। মালিকপক্ষ ২০ টাকা মজুরি বাড়াতে চেয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী নিজে আরও ৫টাকা বাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। আব্দুস শহীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভারত
সফর থেকে এসে চা শ্রমিকদের সাথে তাদের দাবি দাওয়া নিয়ে বসবেন। বিভাগীয় শ্রম দপ্তরের উপ
পরিচালক নাহিদুল ইসলাম বলেন, চা শ্রমিকরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। কালকে থেকে তারা
কাজে যোগ দেবেন। অন্যদিকে, সিলেট ও হবিগঞ্জের চা শ্রমিক নেতাদের নিয়ে বসবেন স্ব স্ব জেলা
প্রশাসক।