রুহুল আমীন খন্দকার, ব্যুরো প্রধান :
রাজশাহী বিভাগের আট জেলাজুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৭৩৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে।শুক্রবার (২৭শে মার্চ) পর্যান্ত হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন মোট ৩২৭ জন। এরা সবাই বিদেশ ফেরত।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্রনাথ আচার্য্য। শনিবার তিনি গনমাধ্যম কর্মীদের জানান, নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনে এসেছেন রাজশাহী জেলায় ৪৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৯, নওগাঁয় ৫৫১ জন, নাটোরে ১১ জন, জয়পুরহাটে ১৫ জন, বগুড়ায় একজন, পাবনায় ৭০ জন এবং সিরাজগঞ্জে ৩১ জন।গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বিভাগে ৬ হাজার ৪৭২ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে এসেছেন। এছাড়া জয়পুরহাটে করোনা সন্দেহে একজন আছেন হাসপাতালে আইসোলেশনে। তবে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি এ বিভাগে।অপরদিকে, রাজশাহীর সিভিল সার্জন ডা. এনামুল হক জানান, গত ০১ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৭৫৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছেন ২১৬ জন। আর গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৭ জনকে কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়েছে।এর মধ্যে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় ৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে আনা হয়। এর বাইরে জেলার পুঠিয়া উপজেলায় ৪ জন, বাগমারায় ১৮ জন, মোহনপুরে ১২ জন, তানোরে ০১ জন এবং গোদাগাড়ীতে ৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই ৪৭ জনের মধ্যে ৩৬ জনই এসেছেন ভারত থেকে। দুবাই, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ও কাতার থেকে এসেছেন ২ জন করে। আর ১ জন করে এসেছেন মালদ্বীপ, সৌদি আরব ও আরব আমিরাত থেকে।সিভিল সার্জন আরও বলেন, কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন ১৪ দিন বাড়িতেই থাকতে হবে। এ’ই সময় বাইরে ঘুরাফেরা করা যাবে না। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আদেশ না মানায় কয়েকজনকে জরিমানাও করা হয়েছে। বর্তমানে রাজশাহী জেলায় মোট ৫৪২ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তাদের মাঝে কারো আপাতত করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা যায়নি। তারপরেও তাদের পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। আরো কিছু ব্যক্তি বিদেশ থেকে রাজশাহীতে এসেছেন। তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না, সন্ধান চলছে? এ ছাড়াও কোন ব্যাক্তি বিদেশ থেকে এলে তাকে স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
প্রাইভেট ডিটেকটিভ/২৮ মার্চ ২০২০/ইকবাল