December 22, 2024, 11:06 am

সংবাদ শিরোনাম
পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড়, পুলিশ ও জনগণ একে অন্যের পরিপূরক-রেজাউল করিম মল্লিক দলের পরিবর্তন হয়েছে চরিত্রের পরিবর্তন হয়নি শায়খে চরমোনাই মুফতি ফয়জুল করীম আপনারা শান্তিতে থাকুন আমরা চাই,আমাদেরকেও আপনারা শান্তিতে থাকতে দিন- ডা. শফিকুর রহমান যশোরে গাছের সাথে বাসের ধাক্কায় নিহত ১ পার্বতীপুরে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা ২০২৪ অনুষ্ঠিত বাংলাভিশন ডিজিটালের নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে নাবিলের অপপ্রচারের প্রতিবাদ হিলিতে বিজিবি দিবসে বিএসএফকে মিষ্টি উপহার বিজিবির কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে আওয়ামী লীগের নেতা গ্রেপ্তার পটুয়াখালীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত-৬ গভীর রাতে আশ্রায়ন প্রকল্পের শীতার্তদের পাশে হাকিমপুরের ইউএনও অমিত রায়

রাজশাহীর মাদক সাম্রাজ্য ও জিরোট্রলারেন্সের অন্তরায়

রাজশাহীর মাদক সাম্রাজ্য ও জিরোট্রলারেন্সের অন্তরায়

মাকসুদ মিনু
সাম্প্রতিক শিক্ষা ও শান্তির নগরী হিসেবে রাজশাহী সার্কভূক্ত দেশগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করলেও ইতিমধ্যে লাগামহীন মাদক প্রবনতায় শিক্ষা ও শান্তি নগরীর পরিবর্তে রাজশাহী মাদক নগরী ছন্দনামে অভিহিত হতে চলেছে।শিক্ষা শান্তি পরিবেশ-পরিচিতির ধারায় উজ্জীবিত প্রানবন্ত যুব সমাজ ছাত্র সমাজ ও কর্নধার আদর্শ পেশার শিক্ষক ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার আইনজীবি প্রশাসনিক ব্যক্তিত্ব  সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এমনকি আবাল বৃদ্ধ সকল পেশা শ্রেনীর একাংশ আজ  মাদকের ভয়ানক ছোঁবলে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে।নিম্ন থেকে অভিজাত শ্রেনীর অধিকাংশ পরিবারের সদস্যইই মাদকাসক্তির কূফল স্বরুপ অর্থ-সম্পদের অবক্ষয় মানহানী সামাজিক হেয়প্রতিপন্নতা ও নির্বাক অশান্তিতে মানবেতর জীবন যাপন করছে শান্তিপ্রিয় রাজশাহীর মানুষ।যেন প্রতিকারহীন সর্বগ্রাসী মাদক সাম্রাজ্যের আধিপত্য বিস্তার।
ইতিমধ্যে জাতীর মেরুদণ্ড নির্ভরকারী সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তথা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাত্র-ছাত্রীদের (ইয়াবা)মাদক চক্রের যে প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় প্রকাশ করেছে তা রাজশাহীতে মাদকের প্রবনতা প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট মাদক চক্রের এমন তথ্য জাতীর জন্য লজ্জাজনক।বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এ তথ্যে চরম উদ্বিগ্ন দেশের সচেতন মহল।পক্ষান্তরে,স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক মাদককে জিরো ট্রলারেন্স দেখানো হলেও নিয়ন্ত্রনহীন ভাবে বেড়েই চলেছে মাদকের প্রবনতা।এই মাদক সাম্রাজ্যের নৈপথ্যে প্রশাসন ও মাদকের অনৈতিক স্বার্থের সেতু বন্ধন  সুরক্ষিত রাঁঘব বোয়াল মাদকের ধরন আওতা পরিধি অর্জিত অর্থ-সম্পদ ও নাম মাত্রে পুলিশ আক্রান্ত (তিঁতকে পুঁঠি)মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের গ্রেফতার বানিজ্য এবং সর্বোপরি  ঊর্দ্ধতন প্রশাসন কর্তৃক জিরোট্রলারেন্সের অন্তরায়ের কারন নিয়েই আজকের এই বিশেষ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।
নব্বই দশকে দেশীয় মাদক গাঁজা মদ তাড়ি ইত্যাদি প্রচলিত মাদকদ্রব্যের পাশা-পাশি হিরোইন মাদকদ্রব্যের আকষ্মিক উদ্ভব রাজশাহীর বিভিন্ন অঞ্চলে বিশেষ প্রভাব ফেলে।ব্যয়-বহুল এ মাদকদ্রব্যের পর পর্যায়ক্রমে ভারতীয় ফেন্সিডিল ও বার্মিজ (ইয়াবা)নামক মাদকের উত্থান ঘটে।বর্তমান প্রজন্মে বহুল প্রচলিত মরন নেশা ইয়াবা মাদকের অন্তর্ভূক্ত হলেও দ্বারগোড়ায় পৃথক কোন আইন না থাকায় বিশেষ ক্ষেত্রে ধৃত ব্যক্তি আইনের ফাঁকগলে দ্রুত মুক্তি সামাজিক সচেতনতা ও সমালোচনার ঊর্দ্ধে অবাধ আমদানি সরবরাহ এবং সেবন ব্যবহার ক্রমশ:বর্তমান প্রজন্মের গৃহদ্বারে বিস্তৃতি লাভ করে।২০১৩ সালের ১৪ ই আগষ্ট রাজধানী ঢাকার চামেলীবাগে সংঘটিত ইয়াবাসেবী ঐশী কর্তৃক তার পিতা পুলিশের বিশেষ শাখা (এস বি)’র পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও মাতা স্বপ্না রহমানের খুনের ঘটনায় দেশব্যাপী ইয়াবা পরিচিতির ব্যাপক বিষ্ফোরন ঘটে।মূলত:এ নির্মম ঘটনা প্রকাশের মধ্য দিয়েই ইয়াবা নামক মাদকদ্রব্যের পরিচিতি ও বিস্তৃতির পাশা-পাশি প্রশাসনিক গুরুত্ব কঠোরতা সামাজিক সচেতনতা এবং ব্যাপক সমালোচনায় আসে।
মাদক প্রবন রাজশাহীতে বহুল প্রচলিত জীবননাশক মাদকদ্রব্য হিরোইন ফেন্সিডিল ও ইয়াবার মাদক চিহ্নিত এলাকা গুলোর মধ্যে রাজপাড়া থানার ঘুড়িপাড়া কোর্ট  ঢালান (কেশবপুর) চারকোঠার মোড় নবগঙ্গা কাশিয়া ডাংগা জিয়া নগর বোয়ালিয়ার হোসনী গঞ্জ বড়কুঠি সেখের চক পঞ্চবটী বাজেকাজলা কেদুর মোড় তালাইমারী বালিয়া পুকুর টিকাপাড়া (খুলিপাড়া) সাধুর মোড় বাস টার্মিনাল বেলদার পাড়া ভদ্রা হাজরা পুকুর ছোট বনগ্রাম এবং মতিহার এলাকার ডাঁশমারি খোঁজাপুর সাতবাড়িয়া মিজানের মোড় জাহাজ ঘাঁটি বিশেষ ভাবে উল্লেখ্যযোগ্য।এসব এলাকার ১ম সাঁরির শীর্ষ ও সফল মাদক সম্রাট-সম্রাজ্ঞীদের মধ্যে রাজপাড়া কোর্ট ঢালানের মাদক সম্রাজ্ঞী জোসনা বেগম ঘুড়িপাড়ার তসলি বেদেনা বেগম পঞ্চবটি বোয়ালিয়ার মৃত আকমানের স্ত্রী নাসিমা আনু মেম্বারের স্ত্রী কালনী রায়হানের স্ত্রী পিয়ারী সেখের চক এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের স্ত্রী তালাইমারীর কাচু বনগ্রাম এলাকার মিন্টু ফেন্সডিল মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে বোয়ালিয়া সেখের চক এর জিল্লুর সরদার হাত কাটা হাবিবের স্ত্রী বালিয়া পুকুরের পলাশ রাজপাড়া কেশব পুর এলাকার আ:রাজ্জাক মতিহার ডাঁশমারী এলাকার কুখ্যাত মাদক সম্রাট আলো,জুমারত,মালেক,আজাদ, জান সাইদুর,আল আমীন জামাল সাতবাড়ীয়ার কালু খোজাপুরের মিন্টু,রাজল মিজানের মোড়ের মজিবুল।
রাজশাহী ইয়াবা মাদক সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা জনক ও শীর্ষ সফল সম্রাট হিসেবে বোয়ালিয়ার  বন্ধগেট উপশহর এলাকার এখলাস রানীবাজার এলাকার রাকিব দরগাপাড়ার রিমন বড়কুঠির অস্থায়ী বাসিন্দা সুমন ও সিন্ডিকেটের বিশ্বস্ত সহযোগী বেলদার পাড়া এলাকার তুষার বারো রাস্তার মোড় এলাকার(অস্থায়ী) মাদক সম্রাজ্ঞী মর্জিনা ও তার ভাই আলো এবং রাজপাড়া কোর্ট এলাকার সেলিম এবং ঘুড়িপাড়ার শাহিন বিশেষভাবে উল্লেখ্যযোগ্য।এছাড়া খুচরা স্পট ও ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীদের মধ্যে বোয়ালিয়া সেখের চক এলাকার জিল্লুর সরদার,ডলার,সুজন,(ভ্রাম্যমান)পঞ্চবটির হালিম বড়কুঠির শারিফ(ভ্রাম্যমান)বাজে কাজলার আলী হোসেন কেদুর মোড়ের রকি,মফি,ডলার হাদির মোড়ের জিমি সাধুর মোড়ের মনা টিকাপাড়ার বিশাল জাহাঙ্গীর নাজমুল ভাংড়ী দুলাল বেলদার পাড়ার আফসান,সোহেল,লিজার স্বামী মনির(ভ্রাম্যমান) বালিয়া পুকুর এলাকার সুইট,সেতু,উজ্জল, কাশেম ভদ্রা এলাকার আরিফ,বাচ্চু,শওকত, জ্যোৎস্না, রফিক, জনি(ভ্রাম্যমান) তালাইমারীর টিপু,শরিফ,শাহিন (ভ্রাম্যমান)হাজরাপুকুরের ডলার মতিহার মিরকামারির বিবিজান(ভ্রাম্যমান)বনগ্রামের রুমনসহ আরও বিভিন্ন এলাকার তিঁতকে পুঁঠি মাদক ব্যবসায়ীর নামের তালিকা পুলিশের কাছে রয়েছে।
আর এম পি’র সাবেক পুলিশ কমিশনার জনাব শফিকুল ইসলামের মাদক নির্মূল সংক্রান্ত কঠোর প্রশাসনিক তৎপরতা আত্মসমর্পনের মাধ্যমে সংখ্যালঘু মাদক ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসন অভিযান গ্রেফতার অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের হুশিয়ারি ইত্যাদি পদক্ষেপের ফলপ্রসূ রাজশাহীর মাদক সাম্রাজ্য সাময়িক ভাবে থমকে যায় এবং মাদক সাম্রাজ্যের নৈপথ্যে থাকা মাদক সম্রাট-সম্রাজ্ঞীদের দু’একজন ছাড়া তিঁতকে পুঁঠিদের অধিকাংশই ধঁরাশায়ীর আওতায় আসে।কিন্তু উক্ত পুলিশ কমিশনার বদলীর সুবাদে ধীরে ধীরে সকল মাদক ব্যবসায়ী আবারো  সক্রিয় হয়ে ওঠে।একই সুবাদে অনৈতিক মাসোয়ারা সংশ্লিষ্ট কতিপয় অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যেও ফিরে আসে স্বস্তি।
হিরোইন মাদক সিন্ডিকেটের শীর্ষ সফল ব্যবসায়ীদের মধ্যে জোসনা বেদেনা তসলি শাহিন নাসিমা কালনী পিয়ারী কাদেরের স্ত্রী কাচু মিন্টু বিগত ও বর্তমান উর্দ্ধতন প্রশাসনের চাপের মুখে স্পট ব্যবসা বন্ধ পাইকারী সরবরাহে সংকোচন অথবা পরিত্যাগ এবং কতিপয় অসাধু প্রশাসন কর্মকর্তাদের মাসোয়ারা চুক্তি নাকচের ফলপ্রসূ:তাদের অর্জিত অর্থ-সম্পদের কাল হিসেবে যেকোন অবস্থায় নিশ্চিত মাসোয়ারা না হয় গ্রেফতার।তাদের অর্জিত কালো অর্থ-সম্পদের উৎস হিরোইন ব্যবসার ইতিহাসে কথিত আছে,কাঁসার থালা বা খঞ্চায় সাজানো  হিরোইন প্রকাশ্যে বিক্রয় কালে মিট ব্যতিত কোন বিশেষ বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতারের বিপরীতে একই সাথে লক্ষ-লক্ষ টাকার বান্ডিল সাজিয়ে প্রস্তত রাখা হত।ফলে,তাদের ব্যবসায়িক জীবনে এসব রাঘব বোয়ালদের গ্রেফতার বা মামলা-মোকদ্দমার নজির দুরুহ ব্যাপার।
ইয়াবা সিন্ডিকেটের রাঁঘব বোয়ালদের ক্ষেত্রেও ঘটছে তাদের সুরক্ষার রহস্যজনক ব্যাপার।রাজশাহীতে ইয়াবা প্রতিষ্ঠাতা জনক বা ইয়াবা সম্রাট হিসেবে এখলাস রাকিব রিপন সুমন ও সিন্ডিকেট সহযোগী তুষার পুলিশের তালিকায় থাকলেও এরা এখনও সক্রিয়ভাবে প্রশাসনের নাকের ডগায় ইয়াবা সরবরাহ নেটওয়ার্ক পরিচালনা করছে।এই ইয়াবা সিন্ডিকেটের উত্থানে লুকিয়ে আছে চমকপ্রদ তথ্য।ঢাকার জনৈক ব্যবসায়ীর নিকট হতে ৮০ লক্ষাধিক টাকার ইয়াবার একটি বড় চালান আত্মসাতের মাধ্যমে রাজশাহীর মাদক সাম্রাজ্যে এদের ইয়াবা ব্যবসার পথকে দ্রুতই সুগম করে।মার্সিটিজ প্রাইমো নোহা হাইস নামক দামী-দামী গাড়িতে কখনও মন্ত্রনালয় কখনও মানবাধিকার কমিশন নানাবিধ ইষ্টিকার সাইনবোর্ড লাগিয়ে সরাসরি টেকনাফ সীমান্ত থেকে ইয়াবার বড় বড় চালান নগরীর ঘুড়িপাড়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহের মাধ্যমে রাতা-রাতি গাড়ি- বাড়ী ও প্রভূত কালো অর্থের মালিক বনে গেছে।বেকারত্বের তাড়নায় সেদিনের সামান্য ইন্সুরেন্স কর্মী এখলাস বন্ধগেট ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় দু’টি বাড়ী ১৮ লক্ষ টাকা মূল্যের নোহা গাড়ী ২৫ লক্ষ টাকা সিকিউরিটি মানির বিনিময়ে সমবায় মার্কেটে একটি দোকান এবং কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্সসহ বাতেনি আরও অনেক সম্পদের মালিক।সমবায় মার্কেটের বৈধ ব্যবসার সাইনবোর্ডের নীচে এখলাস হাত গুটিয়ে বসে থাকলেও ইয়াবা সরবরাহে ব্যবহৃত একাধিক মটর সাইকেল ও বিশ্বস্ত বাহিনী কর্তৃক প্রতিদিন লক্ষ-লক্ষ টাকার ইয়াবা লেন-দেন কখনওই বসে থাকেনা।এখলাসের ঐ বৈধ ব্যবসার দোকানে ক্রেতাদের ভীড়ে অনৈতিক মাসোয়ারা বা মিট সংশ্লিষ্ট অসাধু কর্মকর্তাদের উপস্থিতিও থাকে চোখে পড়ার মত।এখলাসের সাথে তাল মিলিয়ে এ সিন্ডিকেটের অন্যান্যরাও পিছিয়ে নেই।সময়ের ব্যবধানে প্রশাসন কর্তৃক এসব ইয়াবা সম্রাটদের মুখোশ উন্মোচন হলেও বিগত বছরে  ডিবি পুলিশ দামি গাড়ীসহ কেবল রাকিব ও পরে সিন্ডিকেট সহযোগী তুষারকে গ্রেফতার করে ১ লক্ষ টাকা দাবীর ব্যর্থতায় ইয়াবা ও ২৫ গ্রাম হিরোইনের মামলা দিয়ে চালান দেয়।এই ইয়াবা সিন্ডিকেট এখন সক্রিয় সত্ত্বেও রহস্যজনক কারনে এরা প্রত্যেকেই ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।সংশ্লিষ্ট গোপনসূত্রে জানা গেছে,এই সিন্ডিকেটের প্রত্যেকে প্রতিদিনের ইয়াবা লেন-দেনে প্রশাসন ও মাঠ খরচ বাবদ নিম্নে ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ করে থাকে।টাকার বিনিময়ে এ সিন্ডিকেটের বাজারজাতকারী  সহযোগী তুষার এ দায়ীত্বে পারদর্শী ভূমিকা পালন করে।ফলে রাস্তা-ঘাটেও প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে এই তুষারের সখ্যতা মুলক দৃশ্য দেখা যায়।আখের গুছানো এই ইয়াবা সম্রাটদের কেউ ব্যবসা পরিত্যাগের অভিপ্রায়ের বিপরীতে মিট বা অনৈতিক মাসোয়ারায় ব্যাঘাত স্বরুপ প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর্তৃক তাদের অর্জিত অর্থ-সম্পদের কাল হিসেবে ব্যবসা না করার শর্তেও বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট কেন্দ্রিক মাসিক চুক্তির লক্ষাধিক টাকা অনিবার্য নচেৎ মাল দিয়ে চালানের হুমকির সম্মুক্ষিন হওয়া বাঞ্চনীয় বলেও জানা যায়।ফলে মাদক সাম্রাজ্যের ইতিহাসে অন্যান্য কূখ্যাত হিরোইন সম্রাটদের মতই অনেকের অনিচ্ছা সত্ত্বেও মাদক ব্যবসা বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে।হিরোইন-ইয়াবার শীর্ষ মাদক সম্রাজ্ঞী জোসনা বেগমও এক কৌশল সাক্ষাৎকারে এমন সামঞ্জস্যপূর্ন বক্তব্যের সাথে প্রশাসনের ঐসব অসাধু কনস্টেবল থেকে শুরু করে এস আই পদ মর্যাদার কর্মকর্তারাও অনৈতিক স্বার্থ আদায়ে মাথা নিচু করে কথা বলে মর্মে তার মাদক ব্যবসা জীবনে এমন অভিজ্ঞতার দাবি করে।নগরীর আরেক মাদক সম্রাট ভদ্রা এলাকার ছন্দ নাম প্রাপ্ত কূখ্যাত  মাদক সম্রাট গাঁজা সাইফুল ও প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের প্রকাশ্যে সখ্যতামূলক দৃশ্যপটও একই স্বাক্ষী বহন করে।অর্থাৎ রংপুর ও কুমিল্লা থেকে ট্রাকভর্তি গাঁজা আমদানী এবং সরবরাহের গডফাদার গাঁজা সাইফুলকে ঘিরে পুলিশের হাস্যরস উপস্থিতি অত্র এলাকার মানুষের নজর কাড়ে বলেও জানায় স্থানীয়রা।
সম্প্রতি পুলিশের আই জি’র উক্তি “থানা পুলিশের দুর্নীতি রোধ না করলে মাদক নির্মূল সম্ভব নয়”।মূলত:মাদক সাম্রাজ্য ও প্রশাসন এ দু’য়ের মধ্যে “মিট” নামক এই ছোট্ট শব্দটিই সেতু বন্ধন হিসেবে কাজ করে থাকে।শুধু তাই নয়,ঊর্দ্ধতন প্রশাসনের আকষ্মিক চাপ বা অভিযানের তথ্য এসব নিম্ন কর্মকর্তারা আগাম সতর্কবার্তা প্রেরণ করে দেয়।তবে তাদের অনৈতিক মাসোয়ারা বন্ধনে ফাটল দেখা দিলেই  গ্রেফতারের আওতায় আসে যে কোন রাঁঘব বোয়াল।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে আর এম পি’র উর্দ্ধতন প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাদককে জিরোট্রলারেন্স ঘোষনা করা হয়েছে সূত্রে চাপের মুখে ইয়াবা সিন্ডিকেটের শীর্ষ সম্রাট  ব্যতিত ফেরারি কিছু মাদক সম্রাট-সম্রাজ্ঞী ও সংখ্যালঘু তিঁতকে পুঁঠিদের গ্রেফতারের আওতায় আনা হয়েছে।তবে এক্ষেত্রেও গ্রেফতার বানিজ্যে তিঁতকে পুঁঠিদের বেলায় নিম্নে দশ থেকে বিশ হাজার ও রাঁঘব বোয়ালদের কারও কারও নিকট লক্ষাধীক টাকা আদায়ের মাধ্যমে মুক্তি নিত্য দিনের ঘটনা বলেও জানা যায়।মাদক নির্মূল সংক্রান্ত প্রশাসনিক বক্তব্যে কেবল তিঁতকে পুঁঠি ভ্রাম্যমান ইয়াবা ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারে জটিলতা দেখানো হলেও নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা থেকে প্রায় ৭/৮-শত গজ দূরত্বের ব্যবধানে শেখেরচক এলাকার কূখ্যাত ফেন্সিডিল-ইয়াবার স্পট ব্যবসায়ী জিল্লুর সরদারের বাড়ীতে প্রতিদিন প্রকাশ্যে যে মাদক বাজার দৃশ্যপটের অবতারনা তা নেহাত উর্দ্ধতন প্রশাসনের জিরোট্রলারেন্সকে বিদ্রুপ করারই শামিল।উক্ত মাদক স্পটে আগত শত -শত মাদকসেবীর মধ্যে অভিজাত শ্রেনীর মাদকাসক্ত খদ্দেরকে লক্ষ্য করে অদূরে ওৎ পেতে থাকা (সিভিল)পোষাকধারী দু’তিন জনের বিভিন্ন প্রশাসনিক ব্যক্তিদের উপস্থিতি প্রায়ই দেখা যায়।অর্থাৎ তাদের অনৈতিক
চাহিদা পুরনে সাময়িকভাবে আক্রান্ত হয় মাদকসেবীরা অথচ মাদক সম্রাট সুরক্ষিত থেকেই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
রাজশাহী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদফতর এর পরিচালক এখানকার মাদক মাদক সাম্রাজ্যের আধিপত্য বিস্তারে উল্লেখিত তথ্যের ভিত্তিকে সমর্থন দিয়ে বলেন,নিম্ন শ্রেনীর কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড মাদক নির্মূলের অন্তরায় হিসেবে অনেকটা দায়ী।তবে সূনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমান পেলে ঊর্দ্ধতন মহল কঠোর ব্যবস্থায় তৎপর বা সজাগ রয়েছে।
রাজশাহীর সচেতন মহল মনে করেন,মাদক নির্মূলে মোবাইল কোর্ট অভিযান জরুরী।এতে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী উভয়কেই  তাৎক্ষনিক আইনি শাস্তির আওতায় আনলেই মাদক নিয়ন্ত্রন বা নির্মূল সম্ভব।
Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর