July 8, 2024, 11:21 am

সংবাদ শিরোনাম
কুড়িগ্রামে একের পর এক বাঁধ ভেঙে ও সড়ক উপছে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত কোটা সমস্যার সমাধান করার দাবি জাতীয় শিক্ষাধারার জৈন্তাপুরে পুলিশের পৃথক অভিযানে চিনি ও ঔষধ উদ্ধার পীরগঞ্জের ঝোরারঘাট শাহ্ সালেক দাখিল মাদ্রাসায় সুপারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম পীরগঞ্জ ৮৭পিচ ইয়াবা ও অন্যঅন্য মামলায় আসামী আটক৫ ১৭০টি চোরাই মোবাইল ও ট্যাবসহ মোট ০৫ জন চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০ সরকারী রাস্তাসহ ২৯টি মেহগনি গাছ কাটার অভিযোগ।। তদন্তে প্রশাসন পীরগঞ্জে মসজিদের দোহাই সরকারি খাস জমির গাছ কর্তন পীরগঞ্জে পাট ও পাট বীজ উৎপাদন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত রংপুর মিঠাপুকুরে সেফটিক ট্যাংকে পড়ে তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু

সঠিক মাস্ক বেছে নিন

সঠিক মাস্ক বেছে নিন

ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

বায়ুদূষণ যেন নগরজীবনের একটি স্থায়ী সমস্যার নাম। চলতি বছরের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ শহরে বায়ু দূষণের মাত্রা চীনের জনবহুল শহর বেইজিংয়ের চেয়েও বেশি।

বাসা থেকে বেরোলেই এ বায়ুদূষণ হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করতে পারেন রাজধানীবাসী। ধুলায় আচ্ছন্ন শহরটি যেন কুয়াশা মতো ঢেকে থাকে সারাক্ষণ।

বায়ুদূষণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। গতবছর রাজধানীর ছয়টি স্কুলের শিশুদের ফুসফুসের কার্যকারিতার উপর এক গবেষণা চালানো হয়। গবেষকরা বলছেন, ২৫ শতাংশ শিশুর ফুসফুস পূর্ণমাত্রায় কাজ করছে না এবং এদের বেশিরভাগেরই বয়স নয় থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। বায়ুদূষণের ফলেই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান গবেষকরা।

দূষিত বায়ু থেকে ফুসফুসকে সুরক্ষা দিতে একটি কার্যকরী বস্তু মাস্ক। বিশেষ করে শিশুদের স্কুল-কলেজে যাওয়া-আসার পথে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা।

বাজারে বিভিন্ন প্রকার মাস্ক কিনতে পাওয়া যায়। তবে দূষিত বায়ুর হাত থেকে ফুসফুসকে বাঁচাতে সব ধরনের মাস্ক সমান কার্যকরী নয়।

মাস্ক কেনার সময় সেসব বিষয়ে খেয়াল রাখা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা-

১. আমরা বেশিরভাগ সময়ই সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যবহার করি। কারণ, সার্জিক্যাল মাস্ক সবচেয়ে সহজলভ্য। প্রায় সব ওষুধের দোকানেই এ মাস্ক কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু বায়ুদূষণ প্রতিরোধে সার্জিক্যাল মাস্ককে সবচেয়ে কম কার্যকরী বলে মনে করা হয়।

২. ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ফিল্টার বিশিষ্ট মাস্ক বায়ুম-লের দূষিত কণাগুলো পরিশোধনে অধিক কার্যকরী। তবে মাইক্রো-ফিল্টার যুক্ত মাস্কের দামও তুলনামূলক বেশি।

৩. মাস্কে সাধারণত এন(ঘ), আর(জ) ও পি (চ) এই তিন ধরনের ফিল্টার ব্যবহার করা হয়।

এন(ঘ) মাস্ক মূলত ধুলা-বালি থেকে সুরক্ষা দেয়।

আর(জ) ক্যাটাগরির মাস্ক স্বল্প মেয়াদের ব্যবহারের জন্য ভালো। তবে এক সপ্তাহের বেশি ব্যবহারে এর কার্যকারিতা কমে আসে।

পি() ক্যাটাগরির মাস্ক প্রায় দূষিত বায়ু ও ধুলা-বালি উভয়ই পরিশোধনে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। এ মাস্ক এক মাস পর্যন্ত স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করা যায়।

৪. ফিল্টার যুক্ত মাস্কের মধ্যে বা প্যাকেটের গায়ে এক কার্যকারিতার মাত্রা লেখা থাকে। ফিল্টারের কার্যকারিতা বোঝাতে ৯৫, ৯৯, ১০০ ইত্যাদি সংখ্যা ব্যবহার করা হয়। ৯৫ সংখ্যা দিয়ে নির্দেশ করা হচ্ছে, এ মাস্ক বায়ু থেকে ৯৫ শতাংশ দূষিত উপাদান ফিল্টার করতে সক্ষম।

৫. ৯৯ শতাংশ কার্যকারিতা সম্পন্ন এন(ঘ) ক্যাটাগরির মাস্ক হতে পারে একটি ভালো বিকল্প। এটা একই সঙ্গে সাশ্রয়ী ও বায়ুর দূষিত উপাদান পরিশোধনে কার্যকরী।

৬. খেয়াল রাখতে হবে মাস্কটি যেন আরামদায়ক হয়।

৭. একটি মাস্ক কতদিন বা কতবার ব্যবহার করা যাবে তা মাস্কের গায়ে লেখা থাকে। কেনার আগে তা ভালো করে পড়ে নিন।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর