কক্সবাজার শহরের কস্তুুরাঘাটস্থ প্যারাবন কেটে সরকারি খাস জমি ও পানি চলাচলের বড় নালাটি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। বর্তমানে একপাশে স্থাপন নির্মাণ করলেও অন্যপাশে ট্রাক দিয়ে পাহাড়ি মাটি ফেলে ভরাট চলছে। এতোমধ্যে কক্সবাজার শহরের পানি চলাচলের বড় নালাটি ভরাট হয়ে গেছে। পাশাপাশি বাঁকখালী নদীর তীর দখল করতে সৃজিত প্যারাবনও কেটে সাবাড় করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিনভর সমানতালে চলে মাটি ভরাটও।
এমন অভিযোগে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩ টায় পরিদর্শন যান পরিবেশ অধিদফতর কক্সবাজার কার্যালয়ের ইন্সপেক্টর মুমিনুল ইসলাম। তিনি জানিয়েছে- শহরের কস্তুুরাঘাটস্থ বাঁকখালী নদীর পাশে কয়েক একর জমি ভরাট করা হয়েছে ইতোমধ্যে। বর্তমানে মাটি ফেলেও ভরাট কাজ চলছে। নতুন করে ১০০ ফুট বাই ৩০০ ফুট প্যারাবন কেটে পাহাড়ি মাটি ফেলা হচ্ছে। কয়েকটি স্থাপনাও নির্মাণ করা হয়েছে। মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক এসব দখল কাজ করছে বলে তিনি তথ্যও পেয়েছেন। এবিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিষয়টি স্বীকার করে কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহাবুবুর রহমান বলেন- আব্দুল খালেক নামে একব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে কস্তুুরাঘাটস্থ বাঁকখালী নদীর তীর দখলের করতে মাটি ভরাট করছে। ইতোমধ্যে মাটি ভরাট করে স্থাপনাও নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে নদীর পাশে কয়েক একর সরকারি খাস জমি দখল করে নিয়েছে। যার কারণে শহরের পানি চলাচলের বড় নালাটি দখল হয়ে গেছে। এতে সহজে পানি চলাচল করতে না পারায় শহর জুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
বর্তমানে অনেক প্যারাবন কেটে সাবাড় করা হয়েছে। দখল সুবিধার্থে তিনি বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক শীর্ষ ব্যক্তিরদের নামও ব্যবহার করছে। আগামী শনিবার যেকোনো কিছুর বিনিময়ে তা দখল মুক্ত করা হবে বলে মেয়র মাহাবুব জানান।
এবিষয়ে আব্দুল খালেক বলেন- আপনার ইচ্ছা হলে আপনি বেশি করে লিখেন। এগুলো ১নং খাস খতিয়ানভূক্ত জেলা প্রশাসনের জায়গায়। বর্তমানে আমি এসব জায়গার মালিক। আমার পক্ষে উচ্চ আদালতের রায়ও আছে। আমাকে কেউ কিছু করতে পারবে না।
প্রশাসনের সূত্রে জানা গেছে- প্রায় এক যুগধরে অল্প অল্প জমি দখল করে আসছে আব্দুল খালেক। বর্তমানে ৫ একর নদীর তীর দখলে নিয়ে ভরাট করেছে। গত তিন বছরে প্রায় পাঁচবার উচ্ছেদ অভিযানও পরিচালনা করা হয়েছে। উচ্ছেদের পরও আবার কৌশলে স্থাপনা নির্মান করে এবং প্যারাবন কেটে জমি ভরাট করে। আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদফতরে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে।