বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ নিয়ে ভোগান্তি নিরসনে নানামুখী উদ্যোগ
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
বাংলাদেশ বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে লাগেজ নিয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। তার অংশ হিসেবে পরিবর্তন আনা হচ্ছে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ব্যবস্থাপনায়। সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য সেবাদানকারী বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে একটি কমিটি করা হয়েছে। তা ছাড়া লাগেজ পার্টির তৎপরতা কমাতেও নেয়া হয়েছে বেশ কিছু উদ্যোগ। ইতিমধ্যে লাগেজ কাটা চক্রের সদস্যদের একটি তালিকা করা হয়েছে। ওই তালিকায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও সিভিল এভিয়েশনের একাধিক কর্মচারীর নাম রয়েছে। বাংলাদেশ বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দরে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং রেগুলেশন প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি ইতিমধ্যে কাজও শুরু করেছে। আইকাও রুলস অনুযায়ী উড়োজাহাজ অবতরণের প্রথম ১২ মিনিটের মধ্যে প্রথম লাগেজ ডেলিভারি দিতে হবে এবং ৩০ মিনিটের মধ্যে সব ডেলিভারি শেষ করতে হয়। কিন্তু শাহজালালে সেই রুল অনুযায়ী লাগেজসেবা পাওয়া কল্পনাতীত। এখানে লাগেজের জন্য যাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে তা পাওয়া যায় কাটা অবস্থায়। আর লাগেজের মালামাল হয়ে যায় লাপাত্তা। মূলত শাহজালাল বিমানবন্দরে লাগেজ কাটা পার্টির অন্তত অর্ধশত সদস্য সক্রিয়। ওই সদস্যদের মধ্যে বিমান ও সিভিল এভিয়েশনের কিছু কর্মচারী রয়েছে।
সূত্র জানায়, লাগেজ কাটা চক্রের সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরেই বিমানবন্দরে নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই চক্রের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হয়েছে। আর গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনা হলে প্রতারকদের সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) থেকে পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একটি গাইডলাইনও তৈরি করা হয়েছে। এখন প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে উন্নত যাত্রীসেবার দিকে। বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোর জন্য আধুনিক সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক প্রকারের হালকা ও ভারি নতুন ইকুইপমেন্ট কেনা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন জানান, যাত্রীদের লাগেজ ডেলিভারি নিয়ে প্রতিনিয়ত সমালোচনা আর অভিযোগ আসছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং খাতকে আইনি কাঠামোতে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সেটার বাস্তবায়ন দ্রুতই করা হবে। যাত্রীদের লাগেজ যাতে কেউ কাটতে না পারে সে জন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।