ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
আবদুল জব্বার (২৩) নামের ওই ব্যক্তিকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তিনি খুনিয়া পালংয়ের কালুয়ার খলীর হেডম্যান বশির আহম্মদের ছেলে।
রামুর খুনিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ দাবি করেন, ‘আবদুল জব্বারকে হাফেজ মোস্তফা নামের এক রোহিঙ্গা খুন করেছেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আটক করেছে পুলিশ।’
তিনি বলেন, ‘শুক্রবার গভীর রাতে খুনিয়া পালংয়ের ২ নং ওয়ার্ডের হেডম্যান পাড়ায় সামাজিক বনায়নের বাগান পাহারা দিচ্ছিলেন আবদুল জব্বার। এ সময় হাফেজ মোস্তফা তাকে গলাকেটে ও কুপিয়ে আহত গুরুতর জখম করেন। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আবদুল জব্বারের মৃত্যু হয়।’
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানান এই ইউপি চেয়ারম্যান।
তবে এ বিষয়ে রোহিঙ্গা কমিউনিটির কোনো নেতার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পুলিশ প্রশাসন থেকেও কোনো তথ্য দেওয়া জানা সম্ভব হয়নি।
এর আগে শুক্রবার রাতে উখিয়ার বালুখালী ১নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে রোহিঙ্গারা। এতে চার বাংলাদেশি আহত হন।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘শরণার্থী শিবিরে নলকূপ স্থাপন করা নিয়ে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে স্থানীয়দের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে রোহিঙ্গারা ডাকাত পড়েছে বলে মাইকিং করে সংঘবদ্ধভাবে স্থানীয়দের ওপর হামলা চালায়।’
তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে উখিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপের চিহ্ন রয়েছে।’
স্থানীয়দের বরাতে এ ঘটনায় অন্তত ৫ স্থানীয় বাসিন্দা নিখোঁজ রয়েছেন বলেও সে সময়ে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল।