সন্দ্বীপ এবং নোয়াখালির সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনের দাবি
ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক
জেগে উঠা চর নিয়ে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ এবং নোয়াখালির সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন এবং ভাসান চরকে (ঠ্যাঙ্গার চর) সন্দ্বীপে অর্ন্তভুক্ত করার দাবিতে ‘সন্দ্বীপ সীমানা রক্ষা কমিটি’ ঢাকার উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার মানব বন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সকাল দশটা থেকে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোশারফ হোসেন খাদেম। কমিটির সমন্বয়ক এবং ডাকসুর সাবেক আপ্যায়ন সম্পাদক নুরুল আখতারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক দায়রা জজ আবু সুফিয়ান, অধ্যাপক দিদারুল আলম, সালেহা বেগম, প্রকৌশলী আবদুল হান্নান, মাইনুর রহমান, শামসুল কবির খান, মনিরুল হুদা বাবন, কাজী মঞ্জু প্রমুখ। স¦র্নদ্বীপ, ঠেংগার চর এবং জালিয়াচর সন্দ্বীপের বিলিন হয়ে যাওয়া অংশ উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ১৯৫৪ সালে সন্দ্বীপ চট্রগ্রাম জেলার সাথে যুক্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম–নোয়াখালি আন্তঃজেলা সীমানা নির্ধারণ হয়নি। ২০১৬ সালের ২ মার্চ ভূমিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম–নোয়াখালি আন্তঃজেলা সীমানা নির্ধারণ হলে এ বিরোধ নিরসন হবে। তারা বলেন, ৫৭০ বর্গমাইলের সন্দ্বীপ ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে এখন ৬৫ থেকে ৭০ বর্গমাইলে এসে দাঁড়িয়েছে। তাই আশপাশে জেগে উঠা চর সন্দ্বীপের বিলিন হয়ে যাওয়া অংশ। বিগত কয়েক দশকে লাখ লাখ পরিবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে ভিটে মাটি হারিয়েছে। ভিটে মাটি হারা এসব মানুষ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কোন রকম মাথা গুঁজে জীবন ধারণ করছে। এখনো উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ নদীভাঙনের কবলে পড়ে খোলা আকাশের নিচে কিংবা বেড়িবাঁধের পাশে বসবাস করছে। তাদের পুনর্বাসন না করে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর কতটুকু যুক্তি যুক্ত হবে প্রশ্ন রেখে তারা বলেন, ‘এরাও অমানবিক জীবন যাপন করছে। আগে তাদের পুনর্বাসন করা হোক’। বক্তারা সন্দ্বীপের আশপাশে জেগে উঠা চরে নদী সিকিস্তিদের পুনর্বাসনের দাবি জানান। বিরুপ আবহাওয়া এবং মুশলধারে বৃষ্টি উপেক্ষা করে মানববন্ধনে ঢাকায় অবস্থানকারী বিপুল সংখ্যক সন্দ্বীপবাসী অংশগ্রহণ করেন।