October 5, 2024, 4:02 pm

সংবাদ শিরোনাম
স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা! লক্ষ্মীপুরে কুমিরের আতঙ্কে এলাকাবাসী সাংবাদিক পুত্র আবির হোসেন অনন্ত’র জন্মদিন আজ বিল্লাল হুসাইন ক্ষমতা! নাকি আড়ালে ছিলো ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনার? বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রিয় কমিটি

নবীগঞ্জের এক শিশু লেখা পড়া করে শিক্ষিত হতে চায়- টাকার অভাবে স্কুল ফাঁকি দিয়ে শাক- সবজি বিক্রয় করছে!

বুলবুল আহমদ, নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:-হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের গুমগুমিয়া গ্রামের মোফাজ্জল মিয়ার পুত্র আট বছরের শিশু ফয়েজ মিয়া সে তার গ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। তার সহপাঠিরা ভাল কাপড় ছোপড় পড়ে স্কুলে আসে। কিন্তু ফয়েজের বাবার অবস্থা অসচ্চল হওয়াতে সে কখনো ভাল কাপড় ছোপড় পড়ে স্কুলে যেতে পারেনি। তার সহপাঠীদের সাথে ভাল ভাবে চলাফিরা বা কথাবার্তা বলতে পারেনি! এমন কি সকল ছাত্রই কম বেশ টাকা পয়সা নিয়ে স্কুলে এসে প্রতিদিনই ১০/১৫ টাকা খরচ করে। কিন্তু ফয়েজ তার মতো করে না পারে চলতে, না পারে খেতে, না পারে কাপড় ছোপড় পড়তে। সে বিভিন্ন সময় তার বাবা-মা ও স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের অগোচরে ক্লাস ফাঁকি দিয়ে তার গ্রামের পাশের হাওড় ও বিল থেকে কলমী শাক তুলে বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করে আসছে।

এ ব্যাপারে (৩ জুলাই) বুধবার দুপুরে তার সাথে কথা হয় নবীগঞ্জ শহরতলীর জে, কে হাইস্কুলের সামনে। তার কাছ থেকে অজান আরো অনেক কিছু জানা যায়। সে বলে, আমি লেখা পড়া করে শিক্ষিত হতে চাই। এতে, আমার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের সংসারের অভাব-অনটন।

এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার গ্রামের কয়েকজন যুবক এর সাথে কথা হলে তারা বলেন, ফয়েজ শুধু নবীগঞ্জ বাজারে নয় সে নবীগঞ্জের বিভিন্ন হাট বাজারে কলমী শাক, লতা, কচু, শাপলা ফুল বিক্রি করতে দেখা যায়।

ফয়েজের মতো আরো অনেক শিশুরাই সংসারের অভাবে টাকা উপার্জন করতে বিভিন্ন পেশা বেঁচে নিয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন হাট বাজারের চা- স্টল, মুদির দোকান সহ অটোরিক্সা চালাতে দেখা যায়। সমাজের বিত্তশালীর ব্যক্তি যদি নিজ- নিজ এলাকার হতদরিদ্র শিশু- কিশোরদের পাশে দাঁড়ান তাহলে হয়তো আজকেই এই শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। ওরা অকালে ঝরে গিয়ে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে না। এমনকি কোমলমতী শিশুরা ক্লাস ফাঁকি দিয়ে লেখা পড়া করার জন্য টাকা উপার্জন করতে বিভিন্ন হাট বাজারে শাক সবজি বিক্রি করতে হবেনা।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর