নিজ্বস প্রতিনিধি:-
এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক এম ডি আলী রেজা খান, সদস্য সচিব ফিরোজ আহমেদ বকাউল প্রমুখ।
আব্দুল মালেক বাঘা মুক্তিযুদ্ধে গেরিলা ট্যাকটিকস এবং হিট অ্যান্ড রান অপারেশনের কৌশলে অসাধারণ বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় দেশমাতা এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ‘বীর প্রতীক’ খেতাব দেন। অনেক দুর্ধর্ষ সাহসী অপারেশনে অংশগ্রহণ করেন এই বীর সন্তান। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হচ্ছে পাক হানাদার বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে ঢাকার অদূরের সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন উড়িয়ে দেওয়া।
এ ছাড়াও তার অনেকগুলি সফল অপারেশনের মধ্যে ওলান-টঙ্গী পাওয়ার লাইন, কাপ্তাই-সিলেট, কমলাপুর-পোস্তগোলা লাইন, নরসিংদী পাওয়ার লাইন, মুরাপারা-ধামগড় পাওয়ার লাইন, ঢাকেশ্বরী পাওয়ার লাইন, আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল লাইন উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও তিনি সম্মুখ যুদ্ধে অনেক পাক সেনা ও তাদের দোসরদের হত্যা করেন।
এই মুক্তিযোদ্ধা বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রশ্নে ছিলেন আপসহীন। পেশাগত জীবনে তিনি ডেসার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। সততা নিষ্ঠা এবং দেশপ্রেমে তিনি ছিলেন অটল। ব্যক্তি জীবনে তিনি এক ছেলে ও পাঁচ কন্যার বাবা। ছেলে-মেয়ে এবং সংসারের চেয়ে আওয়ামী লীগ, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণেই তিনি বেশি সময় দিতেন। চাকরি থেকে অবসর নিয়ে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে যোগদান করেন
আব্দুল মালেক বাঘা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী দেশ উন্নয়নে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তৎকালীন পূর্ব মাদারীপুর উন্নয়ন সমিতি, পরবর্তীতে শরীয়তপুর জেলা উন্নয়ন সমিতি গঠন ও জেলার পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে তিনি ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। তিনি দুলারচর হাইস্কুল, দুলারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মনিরাবাদ চরমোহন বাঘাবাড়ী সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ছাড়াও আরও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেন। হাজী শরীয়তুল্লাহ কলেজ প্রতিষ্ঠার নেপথ্যের কারিগরদের অন্যতম কারিগর ছিলেন মালেক। আজকে আমরা যে সখিপুর থানা দেখতে পাচ্ছি, তার নেপথ্য এক বিশাল ইতিহাস, এই থানা রাতারাতি বাস্তবায়ন হয়নি। প্রথমে সখিপুর থানা বাস্তবায়ন দাবি, পরবর্তীতে এনআইসিএআরের মিটিংয়ের উপস্থাপন করার প্রক্রিয়া ও অনুমোদন, তার আরও অনেক পরে থানা উদ্বোধন এবং বাস্তবায়ন।
আব্দুল মালেক বাঘা শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন।