মোঃ তানজিল হোসাইন রাঙ্গামাটি প্রতিনিধিঃ
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পাহাড়ে ঘেরাও করা,চারিদিকে শুধু পাহাড় আর পাহাড়, চলাচলের রাস্তাগুলো পাহাড় ঘেসা, সবগুলো রাস্তা উচুনিচু বাঁক, রাঙ্গামাটি সদর হতে রাউজান পর্যন্ত আঁকাবাঁকা ও উঁচুনিচু এ রাস্তায় নিরাপত্তার অভাব একটু বেশী,কেন নয় পাহাড়ি সন্ত্রাসী সশস্ত্র সংগঠন যে কোন সময় ডাকাতি করতে পারে, প্রশাসন হতে নিষেধ আছে রাত ৮ টার পর কোন গাড়ি রাঙ্গামাটিতে ঢুকবেনা এবং বেরও হবেনা। রাঙ্গামাটি হতে চট্রগ্রামগামী বাস না হলেও ১০ হতে ১২টা, এর মধ্যে দ্রুতযান সার্ভিস কথ্য ভাষায় লোকাল গাড়ির সংখ্যা ৪ হতে ৫টি এবং পাহাড়িকা আর বি,আর,টিসি কথ্য ভাষায় বিরতিহীন গাড়ীর সংখ্যা ৭ হতে ৮টি প্রতিনিয়ত চট্রগ্রাম যাতায়াত করছে দীর্ঘদিন ধরে, কিন্তু গাড়ীর চালক দক্ষ হলেও যান্ত্রিক ত্রুটি যুক্ত গাড়ি চালিয়ে যেতে হয় ড্রাইভারদের,পাহাড়ি রাস্তায় অতীতে অনেক দূর্ঘটনা হয়েছে এবং আহত ও নিহত হয়েছে অনেক মানুষ, আজও ১১.৩০ ঘটিকায় রাঙ্গামাটি হতে ছেড়ে যাওয়া বি,আর,টিসি গাড়িটাও প্রায় ১২টা বাজে মানিকছড়ি থেকে একটু দূরে এমন দূর্ঘটনা হতে ভাগ্যের জোরে বেঁচে গিয়েছে বি,আর,টিসি তে থাকা যাত্রীরা,তারা বলেন আমরা আজ নতুন করে জীবন ভিক্ষা পেয়েছি, ত্রুটি যুক্ত গাড়ি অবাধে চলছে পাহাড়ি রাস্তায়,কারো কোন বাধা বিপত্তি নাই,যাতায়াতের সময় চেক করা হচ্ছেনা গাড়িগুলো,আগেও অনেক দূর্ঘটনা হয়েছে, প্রশাসন সব জানে তবুও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা প্রশাসন, বলতে বলতে ছলছল চোখে হঠাৎ সাংবাদিকদের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দেন বিআরটিসি গাড়িতে থাকা যাত্রীরা, তারা বলেন আর কতদিন এভাবে জীবন হাতে নিয়ে চলাফেরা করতে হবে?
এর কি কোন প্রতিকার নেই?
আর কত জীবন দিলে সব ঠিক হবে?
তারা প্রশ্নগুলো করতে করতে কেঁদেই ফেলেন।
তিনারা বলেন পাহাড়ি রাস্তায় ত্রুটি মুক্ত গাড়ি চলাচল করা চাই, ত্রুটি পূর্ন গাড়িগুলো দ্রুত জব্দ করে প্রশাসনের কাছে এনে মালিককে শাস্তি প্রদান করলে হয়তো ভবিষ্যতে এমন গাড়ি নিয়ে আর কেও যাত্রীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারবেনা বলে তারা জানান!